- Back to Home »
- হিন্দু ধর্ম গ্রন্থে মুহাম্মাদ (সা:) এর আগমনের ভবিষ্যত বাণি-- পর্ব ১
Posted by : Niamul Hasan
বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল, ২০১৪
হিন্দু ধর্ম গ্রন্থে মুহাম্মাদ (সা:) এর আগমনের ভবিষ্যত বাণি-- পর্ব ১.
সবার প্রতি পড়ার অনুরোধ রইলো।
জেনে অবাক হবেন হিন্দু ধর্ম গ্রন্থে মুহাম্মাদ (সা:) এর নাম অনেক বার বলা হয়েছে। যা কোরআনের চেয়ে অনেক বেশি বার (যেখানে, কুরআনে মাত্র ৫ বার রাসুল (সা:) এর নাম বলা হয়েছে)
হিন্দু ধর্মে ভবিষ্যতবাণীকৃত ভগবানের দূত বা দেবতাদের মধ্যে কল্কি অবতার হলেন সবচেয়ে জনপ্রিয়। হিন্দু ধর্ম গ্রন্থ গুলোর মধ্যে ভগবৎ পূরাণ, কল্কি পূরাণ ও আরও অনান্য গ্রন্থ গুলিতে কল্কি সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে।
"আসুন দেখি কে এই কল্কি অবতার"
-----
# ভবিষ্যবাণী১
ভাগবত পুরাণ; ১২ খন্ড; দ্বিতীয় অধ্যায়, ১৮-২০ শ্লোকে কল্কি সম্পর্কে বলা হয়েছে, “বিষ্ণুয়াস নামে একজন ঘরে যে মহৎ হৃদয়ের ব্রাহ্মন এবং সাম্বালা নামের একটি গ্রামের প্রধান, তাঁর ঘরে জন্মাবেন কল্কি। তাকে ইশ্বর দেবেন উতকৃষ্ট গুনাবলী আর ইশ্বর তাকে দেবেন আটটি অলৌকিক শক্তি। তিনি চড়বেন একটি সাদা ঘোড়ায় এবং তার ডান হাতে থাকবে তরবারি”।
-------
এবার আসুন মুহাম্মাদ (সা:) এর সাথে এর মিল কতো টুকু।
কল্কির বাবার নাম বিষ্ণুয়াস। বিষ্ণু কথার অর্থ ইশ্বর এবং ইয়াস কথার অর্থ দাস। অর্থাৎ ইশ্বরের দাস। বিষ্ণুয়াস কথাটি আরবিতে করলে হবে আব্দুল্লাহ। আর সবাই জানি যে রাসুল(সা) এর পিতার নাম আব্দুল্লাহ ছিল।
কল্কির জন্ম সাম্বালা গ্রামে। সংস্কৃত ভাষায় সাম্বালা শব্দের অর্থ প্রশান্ত বা শান্তির জায়গা। মক্কায় রাসুল(সা) জন্মগ্রহন করেছিলেন, আর আমরা জানি মক্কাকে দারুল আমান বা শান্তির জায়গা বলা হয়।
কল্কির বাবা গ্রামের প্রধান। আমরা হাদিস এবং ঐতিহাসিকদের কাছ হতে জানতে পারি যে রাসুল(সা) মক্কার প্রধান বংশের ঘরে জন্ম গ্রহন করেছিলেন।
কল্কিকে ইশ্বর দেবেন উতকৃষ্ট গুনাবলী। মাইকেল এইচ হার্ট তাঁর বইয়ে বিশ্বের সৃষ্টির সময়কাল থেকে যত মহান মনীষির জন্ম হয়েছে তাঁদের মধ্যে শ্রেষ্ট ১০০ জনকে বাছতে গিয়ে মুহাম্মাদ(সা)কে প্রথম স্থানে রেখেছেন। নবীজী(সা) এতই উতকৃষ্ট গুনাবলীর অধিকারী ছিলেন যে আজও বিশ্বের ২০০ কোটিরও বেশি মানুষ তাঁর জীবন আদর্শ অনুসরণ করে চলেন।
কল্কিকে ইশ্বর দেবেন অটটি অলৌকিক শক্তি। হিন্দু ধর্ম অনুযায়ী এই আটটি শক্তি হল ১.জ্ঞান ২.সংযম ৩.জ্ঞান বিতরণ ৪.অভিজাত বংশ ৫.সাহসিকতা ৬.কম কথা বলা ৭.মহানুভতা ৮. পরোপকারিতা। এই আটটি গুনের সবগুলো হুবহু মুহাম্মাদ(সা) এর মধ্যে ছিল। যারা মুহাম্মাদ(সা) সম্পর্কে জানেন বা তাঁর জীবনি পড়েছেন তারা সহজেই ব্যাপারটা বুঝতে পারবেন।
কল্কি চরবেন একটি সাদা ঘোড়ায় এবং তাঁর ডান হাতে থাকবে তরবারি। আমরা জানি যে মুহাম্মাদ(সা) বোরাকে চড়েছিলেন, যখন তিনি মিরাজে গিয়েছিলেন। তাঁর ডান হাতে যুদ্ধের সময় তরবারি থাকত। তিনি বেশ কয়েকটি যুদ্ধ করেছিলেন। সবগুলো যুদ্ধই ছিল আত্মরক্ষার জন্য।
(সংগৃহীত, সংযোজিত ও সম্পাদিত।)
সবার প্রতি পড়ার অনুরোধ রইলো।
জেনে অবাক হবেন হিন্দু ধর্ম গ্রন্থে মুহাম্মাদ (সা:) এর নাম অনেক বার বলা হয়েছে। যা কোরআনের চেয়ে অনেক বেশি বার (যেখানে, কুরআনে মাত্র ৫ বার রাসুল (সা:) এর নাম বলা হয়েছে)
হিন্দু ধর্মে ভবিষ্যতবাণীকৃত ভগবানের দূত বা দেবতাদের মধ্যে কল্কি অবতার হলেন সবচেয়ে জনপ্রিয়। হিন্দু ধর্ম গ্রন্থ গুলোর মধ্যে ভগবৎ পূরাণ, কল্কি পূরাণ ও আরও অনান্য গ্রন্থ গুলিতে কল্কি সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে।
"আসুন দেখি কে এই কল্কি অবতার"
-----
# ভবিষ্যবাণী১
ভাগবত পুরাণ; ১২ খন্ড; দ্বিতীয় অধ্যায়, ১৮-২০ শ্লোকে কল্কি সম্পর্কে বলা হয়েছে, “বিষ্ণুয়াস নামে একজন ঘরে যে মহৎ হৃদয়ের ব্রাহ্মন এবং সাম্বালা নামের একটি গ্রামের প্রধান, তাঁর ঘরে জন্মাবেন কল্কি। তাকে ইশ্বর দেবেন উতকৃষ্ট গুনাবলী আর ইশ্বর তাকে দেবেন আটটি অলৌকিক শক্তি। তিনি চড়বেন একটি সাদা ঘোড়ায় এবং তার ডান হাতে থাকবে তরবারি”।
-------
এবার আসুন মুহাম্মাদ (সা:) এর সাথে এর মিল কতো টুকু।
কল্কির বাবার নাম বিষ্ণুয়াস। বিষ্ণু কথার অর্থ ইশ্বর এবং ইয়াস কথার অর্থ দাস। অর্থাৎ ইশ্বরের দাস। বিষ্ণুয়াস কথাটি আরবিতে করলে হবে আব্দুল্লাহ। আর সবাই জানি যে রাসুল(সা) এর পিতার নাম আব্দুল্লাহ ছিল।
কল্কির জন্ম সাম্বালা গ্রামে। সংস্কৃত ভাষায় সাম্বালা শব্দের অর্থ প্রশান্ত বা শান্তির জায়গা। মক্কায় রাসুল(সা) জন্মগ্রহন করেছিলেন, আর আমরা জানি মক্কাকে দারুল আমান বা শান্তির জায়গা বলা হয়।
কল্কির বাবা গ্রামের প্রধান। আমরা হাদিস এবং ঐতিহাসিকদের কাছ হতে জানতে পারি যে রাসুল(সা) মক্কার প্রধান বংশের ঘরে জন্ম গ্রহন করেছিলেন।
কল্কিকে ইশ্বর দেবেন উতকৃষ্ট গুনাবলী। মাইকেল এইচ হার্ট তাঁর বইয়ে বিশ্বের সৃষ্টির সময়কাল থেকে যত মহান মনীষির জন্ম হয়েছে তাঁদের মধ্যে শ্রেষ্ট ১০০ জনকে বাছতে গিয়ে মুহাম্মাদ(সা)কে প্রথম স্থানে রেখেছেন। নবীজী(সা) এতই উতকৃষ্ট গুনাবলীর অধিকারী ছিলেন যে আজও বিশ্বের ২০০ কোটিরও বেশি মানুষ তাঁর জীবন আদর্শ অনুসরণ করে চলেন।
কল্কিকে ইশ্বর দেবেন অটটি অলৌকিক শক্তি। হিন্দু ধর্ম অনুযায়ী এই আটটি শক্তি হল ১.জ্ঞান ২.সংযম ৩.জ্ঞান বিতরণ ৪.অভিজাত বংশ ৫.সাহসিকতা ৬.কম কথা বলা ৭.মহানুভতা ৮. পরোপকারিতা। এই আটটি গুনের সবগুলো হুবহু মুহাম্মাদ(সা) এর মধ্যে ছিল। যারা মুহাম্মাদ(সা) সম্পর্কে জানেন বা তাঁর জীবনি পড়েছেন তারা সহজেই ব্যাপারটা বুঝতে পারবেন।
কল্কি চরবেন একটি সাদা ঘোড়ায় এবং তাঁর ডান হাতে থাকবে তরবারি। আমরা জানি যে মুহাম্মাদ(সা) বোরাকে চড়েছিলেন, যখন তিনি মিরাজে গিয়েছিলেন। তাঁর ডান হাতে যুদ্ধের সময় তরবারি থাকত। তিনি বেশ কয়েকটি যুদ্ধ করেছিলেন। সবগুলো যুদ্ধই ছিল আত্মরক্ষার জন্য।
(সংগৃহীত, সংযোজিত ও সম্পাদিত।)