Posted by : Niamul Hasan বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল, ২০১৪

“বিগ ব্যাং এবং আল-কোরআন”

আজ আমরা আলোচনা করবো বিগ ব্যাং তত্ত কি বলে ও আল কুরয়ানে কি বলে মহাবিশব তৈরি সম্পর্কে।

বিগ ব্যাং সম্পর্কে আমরা সবাই কম বেশি জানি। তার পরো একটু সুংক্ষেপে জেনে নিই আসুন।
বিগ ব্যাং তত্ত টি মুলত প্রতিষ্ঠিত হাবালের প্রদত্ত প্রস্তাবের ওপর। আসুন দেখি হাবালের তত্ত এবং বিগ ব্যাং এর মূল ধারনা,


“বিজ্ঞানী এডুইন হাবল প্রথম বলেন, দূরবর্তী ছায়াপথসমূহের বেগ সামগ্রিকভাবে পর্যালোচনা করলে দেখা যায় এরা পরষ্পর দূরে সরে যাচ্ছে অর্থাৎ মহাবিশ্ব ক্রমশ সম্প্রসারিত হচ্ছে। আপেক্ষিকতার সাধারণ তত্ত্বের ফ্রিদমান-ল্যমেত্র্-রবার্টসন-ওয়াকার মেট্রিক অনুসারে এটি ব্যাখ্যা করা হয়েছে। এই তত্ত্বসমূহের সাহায্যে অতীত বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, সমগ্র মহাবিশ্ব একটি সুপ্রাচীন বিন্দু অবস্থা থেকে উৎপত্তি লাভ করেছে। এই অবস্থায় সকল পদার্থ এবং শক্তি অতি উত্তপ্ত এবং ঘন অবস্থায় ছিল। কিন্তু এ অবস্থার আগে কী ছিল তা নিয়ে পদার্থবিজ্ঞানীদের মধ্যে কোন ঐক্যমত্য নেই। অবশ্য সাধারণ আপেক্ষিকতা এর আগের সময়ের ব্যাখ্যার জন্য মহাকর্ষীয় অদ্বৈত বিন্দু (সিংগুলারিটি) নামক একটি শব্দের প্রস্তাব করেছে। মহা বিস্ফোরণ শব্দটি স্থূল অর্থে প্রাচীনতম একটি বিন্দুর অতি শক্তিশালী বিস্ফোরণকে বোঝায় যার মাধ্যমে মহাবিশ্বের সৃষ্টি হয়েছিল, আবার অন্যদিকে এই বিস্ফোরণকে কেন্দ্র করে মহাবিশ্বের উৎপত্তি ও গঠন নিয়ে বিশ্বতত্ত্বে যে মতবাদের সৃষ্টি হয়েছে তাকেও বোঝায়।”
উতস্য www.wikipedia।
bn.m.wikipedia.org/wiki/মহা_বিস্ফোরণ_তত্ত্ব

উইকি মামা কি বলে তা বিস্তারিত দেখুন (big bang)

বিজ্ঞানি হাবালের এই প্রস্তাব থেকেই মহাবিস্ফরন ধারনাটির ভিত্তি অত্যন্ত মজবুত হয়। আসুন দেখি এডুইন হাবল যে ধারনা টি ১৯২৫ সালে দেয়, সেই সম্পর্কে কুরয়ান প্রায় ১৫০০ বছর পূর্বে কি বলেছে?
আল্লাহ কুরয়ানে বলেন,
“আমি স্বীয় ক্ষমতাবলে আকাশ নির্মাণ করেছি এবং আমি অবশ্যই এর প্রসারন কারী।”
(আল-কুরআনঃ ৫১;৪৭)

উল্লেখ্য যে ১৯২০ সালের পূর্ব পর্যন্ত বিজ্ঞানিদের ধারনা ছিলো যে মহাবিশবের আকৃতি নির্দিষ্ট। অর্থাৎ অসম্প্রসারনশীল।

এখানে আল্লাহ হাবাল যে তত্ত দিয়েছে তার কথা বলেছেন।

www.bn.m.wikipedia.org/wiki/এডুইন_হাবল

wiki হাবালের তত্ত বিস্তারিত

এর পর বিগ ব্যাং এর আর একটি গুরুত্তপূর্ন ধারনা হলো সিংগুলারিটি। বলতে গেলে ষ্টিফেন হকিংস তার বই টিতে এই কথাটাই প্রতিষ্ঠিতি করার চেষ্টা করেছেন। যে একটি মাত্র ক্ষুদ্র বিন্দু এবং তাতে হঠাত মহাবিষ্ফরনের ফলে মহাবিশব তৈরি।
আসুন দেখি ১৯ শতকে হকিংস যে কথা বলেছেন, যেই সম্পর্ক কুরআন কি বলে…

আল্লাহ বলেন,
“কাফেররা কি ভেবে দেখে না যে, আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর মুখ বন্ধ(একত্রে) ছিল, অতঃপর আমি উভয়কে আলাদা করে দিলাম এবং প্রাণবন্ত সবকিছু আমি পানি থেকে সৃষ্টি করলাম। এরপরও কি তারা বিশ্বাস স্থাপন করবে না?” (21;30)

এখানে আল্লাহ বলেছেন যে, আকাশ ও পৃথিবী অর্থ্যাত পুরো মহাবিশব একত্রে বন্দি ছিলো, যা তিনি আলাদা করে দিয়েছেন। এখানে অত্যন্ত স্পষ্ট ভাবে big bang / মহাবিষ্ফরিন সংঘটিত হওয়ার মুহূর্তের কথা ইজ্ঞিত করা হয়েছে।
এছাড়াও কুরআনে বিগ ব্যাং সম্পর্কে অনেক ধাপ এবং অবস্তার কথা বলা হয়েছে,
আমরা বিশফরনের পরবর্তি অবস্তাড় কোঠা জানি, বিজ্ঞানিরা বলেন বিষ্ফরনের পরে দীর্ঘকাল মহাবিশব ধুয়া ময় অবস্থায় ছিলো। এবং পরে তা একত্রে ঘনিভূত হয়ে গ্রহ-গ্রহাণু তৈরি হয়।
এবার দেখুন কুরয়ান কি বলে এই সম্পর্কে,

“অতঃপর তিনি আকাশের দিকে মনোযোগ দিলেন যা ছিল ধুম্রকুঞ্জ, অতঃপর তিনি তাকে ও পৃথিবীকে বললেন, তোমরা উভয়ে আস ইচ্ছায় অথবা অনিচ্ছায়। তারা বলল, আমরা স্বেচ্ছায় আসলাম।”
(কুরয়ান ৪১;১১)

আবার বিজ্ঞানিরা মহাবিশব সৃষ্টির সময় কে ৬ টি ভাগে ভাগ করেন। এগুলো হলো,
1. Time Zero
2. Inflation
3. Annihilation
4. Proton and Neutron
5. Atomic Nuclei
6. Stable Atom

আর আল্লাহ কুরআনে বলেন,
“তিনি নভোমন্ডল ও ভূ-মন্ডল সৃষ্টি করেছেন ছয়টি খন্ডিত সময়ে, অতঃপর আরশের উপর সমাসীন হয়েছেন। তিনি জানেন যা ভূমিতে প্রবেশ করে ও যা ভূমি থেকে নির্গত হয় এবং যা আকাশ থেকে বর্ষিত হয় ও যা আকাশে উত্থিত হয়। তিনি তোমাদের সাথে আছেন তোমরা যেখানেই থাক। তোমরা যা কর, আল্লাহ তা দেখেন।”
(কুরআন ৫৭;৪)
কুরআনে বিগ ব্যাং সম্পর্কে আরো বলা হয়েছে। আজ আর নয় ইনশাল্লাহ আবার অন্য দিন দেখা হবে। আমার জন্য সবাই দুআ কইরেন।
যাযাকাল্লাহ।

Leave a Reply

Subscribe to Posts | Subscribe to Comments

আল-কুরআনের আলো



কুরআন আয়াতের এই প্লাগইন টি আমরা সবার জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছি। বিস্তারিত জানতে অথবা আপনার ওয়েব সাইটে এই প্লাগইন টি যুক্ত করতে এখানে ক্লিক করুন

Popular Post

ব্লগ লাইব্রেরি

- Copyright © অপঠিত দৈনিকী-র বাংলা ব্লগ