Archive for ফেব্রুয়ারী 2016
হুমায়ূন আহমেদের লেখার কিছু মজার বৈশিষ্ট!
প্রত্যেকের প্রত্যেক সৃষ্টিশীল কাজে স্রষ্টার স্বক্রীয়তার কিছু বৈশিষ্ট থাকে। হয়তো বিষয় গুলো স্রষ্টার অগোচরেই তার সৃষ্টির মধ্য প্রবেশ করে।
আমাদের পছন্দের একজন লেখক হুমায়ূন আহমেদের এরোকম কিছু স্বাক্ষর আমার চোখে পড়েছে। আজ সেগুলোর কয়েকটা নিয়ে এই পোষ্ট। আশা করি মজা পাবেন। হুমায়ূন ভক্তরা তো অবশ্যই মজা পাবেন।
হুমায়ূন ভক্তরা এই মজার বিষয় গুলো নিশ্চই লক্ষ্য করেছেন। আমার দৃষ্টি গোচর হওয়া ইন্টারেষ্টিং হুমায়ূন রচনার বৈশিষ্ট গুলো হলো:
১. উনার উপন্যাসে যদি কোথাও নজরুল সংগীতের কথা থাকে সেটি অবশ্যই হবে, "ওগো মদিনাবাসী প্রেমে ধরো হাত মম।" এই গান টি।
২. উপন্যাসে যদি ভূত-প্রেত, হ্যালোসিনেশনাল ক্যেরেক্টার থাকে তবে তার গায়ে কড়া গন্ধ থাকবে। (বেশী ভাগ ক্ষেত্রে "ওষধের গন্ধের মত গন্ধ" হয়)
৩. উপন্যাসে কেউ যদি আত্মহত্যা করার ইচ্ছা করে বা কারো যদি প্রচন্ড রাগে মরতে ইচ্ছা করে তবে অবশ্যই তার ইচ্ছা হবে "ট্রাকের" নিচে পড়ে মরার ইচ্ছা।
৪. যেসব লেখক সুপারন্যাচারাল, সাইকোলজি, গোয়েন্দা কাহিনী নিয়ে লেখেন তাদের প্রায় প্রত্যেকের লেখায় একটা শব্দের পুনঃ পুনঃ ব্যাবহার পাওয়া যায়। সেই শব্দটি হলো "ফ্যাকাসে" (সাধারণত মুখের বর্ণ বর্ণণা করতে শব্দ টি ব্যাবহার হয়)
কিন্তু মজার ব্যাপার হলো হুমায়ূন আহমেদের কোনো উপন্যাসে কোথাও "ফ্যাকাসে" শব্দটা পড়েছি বলে আমার মনে হয় না।
৫. শয়তান ফেরেস্তা নাকি জ্বিন এ ব্যাপারে হুমায়ূন আহমেদ সম্ভবত কনফিউজড। কারন তার অনেক গুলো উপন্যাসে বিভিন্ন ভাবে তিনি এই ব্যাপার উত্থাপন করেছেন। (না মোটেই আলোচনার জন্য বা মূল বিষয় হিসেবে ব্যাপার টা উল্লেখ করেন নি। ব্যাপার টা লিখেছেন শুধু মাত্র লাইনের এক্সটেনশন হিসেবে)
৬. আর তার উপন্যাসের কোনো নারী চরিত্র কখনো অসুন্দর চেহারার হয় না। মায়াকারা একটা ভাব থাকবেই।
৭. এবং তার প্রায় প্রত্যেক উপন্যাসেই ক্ষেপাটে, আউলা, ভ্যেগাবন্ড, বেকার টাইপের একটা চরিত্র থাকবেই। (হিমু হিমু ভাবের চরিত্র)
-ধন্যবাদ।
আমাদের পছন্দের একজন লেখক হুমায়ূন আহমেদের এরোকম কিছু স্বাক্ষর আমার চোখে পড়েছে। আজ সেগুলোর কয়েকটা নিয়ে এই পোষ্ট। আশা করি মজা পাবেন। হুমায়ূন ভক্তরা তো অবশ্যই মজা পাবেন।
হুমায়ূন ভক্তরা এই মজার বিষয় গুলো নিশ্চই লক্ষ্য করেছেন। আমার দৃষ্টি গোচর হওয়া ইন্টারেষ্টিং হুমায়ূন রচনার বৈশিষ্ট গুলো হলো:
১. উনার উপন্যাসে যদি কোথাও নজরুল সংগীতের কথা থাকে সেটি অবশ্যই হবে, "ওগো মদিনাবাসী প্রেমে ধরো হাত মম।" এই গান টি।
২. উপন্যাসে যদি ভূত-প্রেত, হ্যালোসিনেশনাল ক্যেরেক্টার থাকে তবে তার গায়ে কড়া গন্ধ থাকবে। (বেশী ভাগ ক্ষেত্রে "ওষধের গন্ধের মত গন্ধ" হয়)
৩. উপন্যাসে কেউ যদি আত্মহত্যা করার ইচ্ছা করে বা কারো যদি প্রচন্ড রাগে মরতে ইচ্ছা করে তবে অবশ্যই তার ইচ্ছা হবে "ট্রাকের" নিচে পড়ে মরার ইচ্ছা।
৪. যেসব লেখক সুপারন্যাচারাল, সাইকোলজি, গোয়েন্দা কাহিনী নিয়ে লেখেন তাদের প্রায় প্রত্যেকের লেখায় একটা শব্দের পুনঃ পুনঃ ব্যাবহার পাওয়া যায়। সেই শব্দটি হলো "ফ্যাকাসে" (সাধারণত মুখের বর্ণ বর্ণণা করতে শব্দ টি ব্যাবহার হয়)
কিন্তু মজার ব্যাপার হলো হুমায়ূন আহমেদের কোনো উপন্যাসে কোথাও "ফ্যাকাসে" শব্দটা পড়েছি বলে আমার মনে হয় না।
৫. শয়তান ফেরেস্তা নাকি জ্বিন এ ব্যাপারে হুমায়ূন আহমেদ সম্ভবত কনফিউজড। কারন তার অনেক গুলো উপন্যাসে বিভিন্ন ভাবে তিনি এই ব্যাপার উত্থাপন করেছেন। (না মোটেই আলোচনার জন্য বা মূল বিষয় হিসেবে ব্যাপার টা উল্লেখ করেন নি। ব্যাপার টা লিখেছেন শুধু মাত্র লাইনের এক্সটেনশন হিসেবে)
৬. আর তার উপন্যাসের কোনো নারী চরিত্র কখনো অসুন্দর চেহারার হয় না। মায়াকারা একটা ভাব থাকবেই।
৭. এবং তার প্রায় প্রত্যেক উপন্যাসেই ক্ষেপাটে, আউলা, ভ্যেগাবন্ড, বেকার টাইপের একটা চরিত্র থাকবেই। (হিমু হিমু ভাবের চরিত্র)
-ধন্যবাদ।
কিভাবে আপনার এন্ড্রোয়েড ফোনের স্ক্রিন রেকর্ড করবেন? (ভিডিও ব্লগ)।
এই ভিডিও টিউটোরিয়াল এ আমি দেখিয়েছি কিভাবে আপনি আপনার এন্ডোয়েড স্মার্টফোনের স্ক্রিন একটিভির ভিডিও রেকর্ড করবেন।
স্ক্রিন একটিভিটি রেকর্ড করতে মূলোত রুট পার্মিশন লাগে অথবা কিছু কিছু এপে পিসি লাগে।
কিন্তু এই পদ্ধতি তে আপনি ফোন রুট করা ছাড়াই এবং পিসি ছাড়াই আপনার ফোনের স্ক্রিন রেকর্ড করতে পারবেন।
যে এপ টি দিয়ে আপনাদের স্ক্রিন রেকর্ডিং শেখাবো সে এপ টির নাম Mobizen।
এভাবে আপনি ফোনের গেইম রেকর্ড, টিউটোরিয়াল বানানো সহ আরো অনেক কাজ করতে পারবেন।
তো বেশি বক বক না করি (থুক্কু না লিখি) আপনারা ভিডিও দেখুন।
ভিডিও টি embed করে দিলাম। তার পরো দেখতে সমস্যা হলে এইযে ইউটিউব লিংক,
https://youtube.com/watch?v=filYxofTQsg
টিউটোরিয়াল টি ডাউনলোড করেও দেখতে পারেন।
ভিডিও ডাউনলোড লিংক,
https://ssyoutube.com/watch?v=filYxofTQsg
এপ টির Play Store লিংক,
Samsung ফোনের জন্য,
https://play.google.com/store/apps/details?id=com.rsupport.mobizen.sec
অন্য সব এন্ড্রোয়েড ফোনের জন্য,
https://play.google.com/store/apps/details?id=com.rsupport.mvagent
স্ক্রিন একটিভিটি রেকর্ড করতে মূলোত রুট পার্মিশন লাগে অথবা কিছু কিছু এপে পিসি লাগে।
কিন্তু এই পদ্ধতি তে আপনি ফোন রুট করা ছাড়াই এবং পিসি ছাড়াই আপনার ফোনের স্ক্রিন রেকর্ড করতে পারবেন।
যে এপ টি দিয়ে আপনাদের স্ক্রিন রেকর্ডিং শেখাবো সে এপ টির নাম Mobizen।
এভাবে আপনি ফোনের গেইম রেকর্ড, টিউটোরিয়াল বানানো সহ আরো অনেক কাজ করতে পারবেন।
তো বেশি বক বক না করি (থুক্কু না লিখি) আপনারা ভিডিও দেখুন।
ভিডিও টি embed করে দিলাম। তার পরো দেখতে সমস্যা হলে এইযে ইউটিউব লিংক,
https://youtube.com/watch?v=filYxofTQsg
টিউটোরিয়াল টি ডাউনলোড করেও দেখতে পারেন।
ভিডিও ডাউনলোড লিংক,
https://ssyoutube.com/watch?v=filYxofTQsg
এপ টির Play Store লিংক,
Samsung ফোনের জন্য,
https://play.google.com/store/apps/details?id=com.rsupport.mobizen.sec
অন্য সব এন্ড্রোয়েড ফোনের জন্য,
https://play.google.com/store/apps/details?id=com.rsupport.mvagent
পৃথিবী কেনো সুর্যের চার পাশে ঘুরছে? সূর্যের মাহাকর্ষ টানে সূর্যের ভেতরে গিয়ে পড়ছে না কেনো?
পৃথিবী কেনো সুর্যের চার পাশে ঘুরছে? সূর্যের টানে সুর্যের ভেতরে গিয়ে পড়ে না কেনো?
সম্ভবত এই প্রশ্ন আমার মতো আপনার মাথাও ঝুলিয়ে (হ্যাং) দিতো। :p
উত্তর যদি হয় হ্যা। তবে আপনার সমাধান এখানে। :) ১০০% কার্যকর সমাধান। বিফলে মূল্য ফেরত! (আপনি তো কোনো মূল্যই দেন নাই, ফেরত দিমু কি :p )
আসেন শুরু করি,
এই সমস্যার সমাধানে আমারা সমস্যা টাকে দুই ভাগে ভাগ করে নিতে পারি।
১. পৃথিবী কিভাবে নিজের কক্ষ পথে গেলো? (না ইতিহাস কমু না)
২. সেখান থেকে সুর্যের মাহাকর্ষ টানে কেনো সে সুর্যের ওপর পড়ছে না? (আসল সমস্যা :( :x )
১ম সমস্যার সমাধান টা এখন বুঝলেও স্কুল জীবনে শুধু পড়েই এসেছি কিন্তু তখন বিষয় টা বুঝিনি। সম্ভবত বুঝিয়ে দেওয়ার মতো কেউ ছিলো না অথবা বাজে (বিজ্ঞানের) বই পড়ার অভ্যাস কখনো ছিলো না সেজন্য।
তো ব্যাপার টার ব্যাখ্যা নিউটন সাহেব ক্যানন বল (কামান বল) পরীক্ষা দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছেন।
(আবার নিউটন!! :( x( )
ব্যাখ্যা টা হলো, কোনো পাহাড়ের চূড়া থেকে যদি কোনো কামান ছোড়া হয় তবে সেটি পাহাড়ের পাদদেশে পাহাড় থেকে একটু দূরে এসে পড়বে। এখন কামান যত জোড়ে ছোড়া হবে, কামানের বল টি পাহাড়ের পাদদেশের মাটিতে তত দূরে পড়বে।
এখন কামানটাকে যদি প্রচন্ড জোড়ে মারা সম্ভব হয় তবে কি হবে? কামান টি সোজা যে বরাবর ছোড়া হবে সেই বরাবর পৃথিবী থেকে সোজা দূরে চলে যেতে চাইবে। কিন্তু পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষন বল কামানের গোলাটিকে নিজের দিকে টানবে, ফলে গোলাটি বৃত্তাকার পথে পৃথিবীকে পরিভ্রমন করতে থাকব।
একটা gif এনেমেশন দিলাম, ( দেখা যাবে)
তথ্য: বৃত্তাকার পথে ঘোরার জন্য কামানের গোলাটিকে যত জোড়ে নিক্ষেপ করা প্রয়োজন, তার চেয়ে বেশি জোড়ে নিক্ষেপ করলে সে উপবৃত্তাকার পথে ঘুরতে থাকবে। ফলে নিক্ষেপের বেগ যত বেশি হবে কক্ষ পথ তত বেশি উপবৃত্তাকার হবে।
--------------
এখন ২য় সমস্যা টা হলো এভাবে ঘুরতে ঘুরতে তো এক সময় কামানের গোলাটি অভিকর্ষের টানে মাটি পড়ার কথা। তাহলে পৃথিবী কেনো সুর্যের ওপর গিয়ে পড়ছে না?
আচ্ছা তাহলে ব্যাপার টি একটু তলিয়ে দেখা যাক।
পৃথিবী যদি সুর্যের ওপর গিয়ে পড়ে তবে সুর্যের দিকে পৃথিবীর সরণ হবে।
আমরা জানি, কোনো বস্তু কর্তৃক কোনো যদি কাজ হয় তবেই কোনো দিকে ঐ বস্তুর সরণ হবে।
সহজ কথায় বললে, সরণ হলে কাজ হয়; সরণ না হলে কাজ শুন্য।
তাহলে উলটো ভাবে বলতে পারি, কাজ শুন্য হলে সরণ শুন্য।
তার মানে বোঝা যাচ্ছে যে, কোনো এক বিশেষ কারণে সুর্যের মহাকর্ষ বল কর্তৃক পৃথিবীর ওপর কৃত কাজ শুন্য; যার ফলেই সুর্যের দিকে পৃথিবীর কোনো সরণ হচ্ছে না।
Get ready এবার আমরা আবিষ্কার(?) করবো কেনো সুর্যের মহাকর্ষ কর্তৃক পৃথিবীর ওপর কৃতকাজ শুন্য।
আমরা জানি যে পৃথিবী সুর্যকে বৃত্তাকার পথে পরিভ্রমন করছে। (প্রকৃত পক্ষে উপবৃত্তাকার; আমরা হিসাবের সুবিধার জন্য বৃত্তাকার ধরলাম)
তাহলে সুর্যের মহাকর্ষ যেহেতু সোজাসুজি (লম্ব ভাবে) পৃথিবীকে আকার্ষন করছে এবং পৃথিবী এর কক্ষপথের স্পর্শক বরাবর ছুটে চলে যেতে চাইছে। সেহেতু, পৃথিবীর ছুটে চলার অভমুখ ও সুর্যের মহাকর্ষ বলের মধ্য কোণের সাইজ হলো ৯০ ডিগ্রি।
আর আমরা জানি,
W = Fx cos Θ
যেখানে,
W হলো কৃত কাজের পরিমান;
F যে বলের দ্বারা কাজ হচ্ছে সেই বলের পরিমান (এখানে সূর্যের আকর্ষন বল);
X হচ্ছে যে বস্তুর ওপর কাজ হচ্ছে তার সরণের পরিমান;
এবং Θ হচ্ছে বল ও সরণের মধ্য কোনের পরিমান।
আমরা ওপরে দেখলাম যে সূর্যের আকর্ষন বল ও পৃথিবীর সরন (কক্ষ পথে সরণ) এর মধ্য কোনের পরিমান 90 ডিগ্রি।
তাহলে,
W = Fx cos Θ
এই সুত্রে Θ এর মান ৯০ ডিগ্রি বসাই তবে cos90 এর মান হলো শূন্য (০).
cos 90 এর মান শুন্য হলে W এর মান অর্থাৎ কাজের পরিমানও শুন্য হয়।
কারণ,
W = Fx * 0 [cos90 = 0 বসে]
W = 0
তাহলে, এখানে যেহেতু কাজের পরিমান শুন্য হচ্ছে সুতরাং সুর্যের আকর্ষন বল পৃথিবী কে তার কক্ষপথ থেকে এক চুল ও সরাতে পারছে না।
তাহলে ব্যাপার টা দঁাড়ায় যে, পৃথিবী সৃষ্টির সময় যে আদি বেগ নিয়ে সুর্যের চার দিকে ঘোরা শুরু করেছিলো ঠিক সেই পরিমান আদিবেগ এখনো সংরক্ষিত আছে।
এখন একটা প্রশ্ন দেখা দেয়, ওপরের সুত্র দেখাচ্ছে যে "F" এর মান অর্থাৎ সুর্যের বল যদি আরো কয়েক থেকে কয়েক হাজার গুন করা হয় তাহলেও "W" অর্থাৎ কাজ শুন্যই থেকে যাবে। এটা কি করে সম্ভব।
আচ্ছা, এখানেও একটি ইন্টারেষ্টিং ঘটনা আছে সেটা হলো, সুর্যের আকর্ষন বল যদি আরো বেশি হতো তবে পৃথিবী যখন প্রথম তার কক্ষে সচল হয় তখন এই সচল হওয়ার জন্য আরো বেশি আদিবেগ লাগতো। সেই আদি বেগ বর্তমান পর্যন্ত সংরক্ষিত থাকতো। ফলে ঘটনা যা আছে সেটাই ঘটতো।
আর সুর্যের আকর্ষন বল যদি বেশি হতো তবে যে আদি বেগে পৃথিবী সচল হয়েছিলো সেই আদি বেগে পৃথিবীকে লঞ্চ করলে পৃথিবী সুর্যের মধ্যে পড়ে যেত তখনই।
(তাহলে চিন্তা করে দেখেন কত হিসাবের ঘটনা)
আমি মুর্খ মানুষ তাই হয়তো আপনাদের সহজ ভাবে বোঝাতে পারিনি। জ্ঞানী কেউ পোষ্ট টা লিখলে আরো সহজে নিশ্চই বোঝাতে পারতো। তবে আমি জানি যে আপনারা ঠিকি বুঝেছেন কারণ আপনারা আমার চেয়ে বুদ্ধিমান তো বটেই।
[ছবি গুলো গুগোল থেকে নেওয়া। ছবির মালিক যিনি কপি রাইট তার। (কারন জানি না কোন ছবি কার :P) ]
সম্ভবত এই প্রশ্ন আমার মতো আপনার মাথাও ঝুলিয়ে (হ্যাং) দিতো। :p
উত্তর যদি হয় হ্যা। তবে আপনার সমাধান এখানে। :) ১০০% কার্যকর সমাধান। বিফলে মূল্য ফেরত! (আপনি তো কোনো মূল্যই দেন নাই, ফেরত দিমু কি :p )
আসেন শুরু করি,
এই সমস্যার সমাধানে আমারা সমস্যা টাকে দুই ভাগে ভাগ করে নিতে পারি।
১. পৃথিবী কিভাবে নিজের কক্ষ পথে গেলো? (না ইতিহাস কমু না)
২. সেখান থেকে সুর্যের মাহাকর্ষ টানে কেনো সে সুর্যের ওপর পড়ছে না? (আসল সমস্যা :( :x )
১ম সমস্যার সমাধান টা এখন বুঝলেও স্কুল জীবনে শুধু পড়েই এসেছি কিন্তু তখন বিষয় টা বুঝিনি। সম্ভবত বুঝিয়ে দেওয়ার মতো কেউ ছিলো না অথবা বাজে (বিজ্ঞানের) বই পড়ার অভ্যাস কখনো ছিলো না সেজন্য।
তো ব্যাপার টার ব্যাখ্যা নিউটন সাহেব ক্যানন বল (কামান বল) পরীক্ষা দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছেন।
(আবার নিউটন!! :( x( )
ব্যাখ্যা টা হলো, কোনো পাহাড়ের চূড়া থেকে যদি কোনো কামান ছোড়া হয় তবে সেটি পাহাড়ের পাদদেশে পাহাড় থেকে একটু দূরে এসে পড়বে। এখন কামান যত জোড়ে ছোড়া হবে, কামানের বল টি পাহাড়ের পাদদেশের মাটিতে তত দূরে পড়বে।
এখন কামানটাকে যদি প্রচন্ড জোড়ে মারা সম্ভব হয় তবে কি হবে? কামান টি সোজা যে বরাবর ছোড়া হবে সেই বরাবর পৃথিবী থেকে সোজা দূরে চলে যেতে চাইবে। কিন্তু পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষন বল কামানের গোলাটিকে নিজের দিকে টানবে, ফলে গোলাটি বৃত্তাকার পথে পৃথিবীকে পরিভ্রমন করতে থাকব।
একটা gif এনেমেশন দিলাম, ( দেখা যাবে)
তথ্য: বৃত্তাকার পথে ঘোরার জন্য কামানের গোলাটিকে যত জোড়ে নিক্ষেপ করা প্রয়োজন, তার চেয়ে বেশি জোড়ে নিক্ষেপ করলে সে উপবৃত্তাকার পথে ঘুরতে থাকবে। ফলে নিক্ষেপের বেগ যত বেশি হবে কক্ষ পথ তত বেশি উপবৃত্তাকার হবে।
--------------
এখন ২য় সমস্যা টা হলো এভাবে ঘুরতে ঘুরতে তো এক সময় কামানের গোলাটি অভিকর্ষের টানে মাটি পড়ার কথা। তাহলে পৃথিবী কেনো সুর্যের ওপর গিয়ে পড়ছে না?
আচ্ছা তাহলে ব্যাপার টি একটু তলিয়ে দেখা যাক।
পৃথিবী যদি সুর্যের ওপর গিয়ে পড়ে তবে সুর্যের দিকে পৃথিবীর সরণ হবে।
আমরা জানি, কোনো বস্তু কর্তৃক কোনো যদি কাজ হয় তবেই কোনো দিকে ঐ বস্তুর সরণ হবে।
সহজ কথায় বললে, সরণ হলে কাজ হয়; সরণ না হলে কাজ শুন্য।
তাহলে উলটো ভাবে বলতে পারি, কাজ শুন্য হলে সরণ শুন্য।
তার মানে বোঝা যাচ্ছে যে, কোনো এক বিশেষ কারণে সুর্যের মহাকর্ষ বল কর্তৃক পৃথিবীর ওপর কৃত কাজ শুন্য; যার ফলেই সুর্যের দিকে পৃথিবীর কোনো সরণ হচ্ছে না।
Get ready এবার আমরা আবিষ্কার(?) করবো কেনো সুর্যের মহাকর্ষ কর্তৃক পৃথিবীর ওপর কৃতকাজ শুন্য।
আমরা জানি যে পৃথিবী সুর্যকে বৃত্তাকার পথে পরিভ্রমন করছে। (প্রকৃত পক্ষে উপবৃত্তাকার; আমরা হিসাবের সুবিধার জন্য বৃত্তাকার ধরলাম)
তাহলে সুর্যের মহাকর্ষ যেহেতু সোজাসুজি (লম্ব ভাবে) পৃথিবীকে আকার্ষন করছে এবং পৃথিবী এর কক্ষপথের স্পর্শক বরাবর ছুটে চলে যেতে চাইছে। সেহেতু, পৃথিবীর ছুটে চলার অভমুখ ও সুর্যের মহাকর্ষ বলের মধ্য কোণের সাইজ হলো ৯০ ডিগ্রি।
আর আমরা জানি,
W = Fx cos Θ
যেখানে,
W হলো কৃত কাজের পরিমান;
F যে বলের দ্বারা কাজ হচ্ছে সেই বলের পরিমান (এখানে সূর্যের আকর্ষন বল);
X হচ্ছে যে বস্তুর ওপর কাজ হচ্ছে তার সরণের পরিমান;
এবং Θ হচ্ছে বল ও সরণের মধ্য কোনের পরিমান।
আমরা ওপরে দেখলাম যে সূর্যের আকর্ষন বল ও পৃথিবীর সরন (কক্ষ পথে সরণ) এর মধ্য কোনের পরিমান 90 ডিগ্রি।
তাহলে,
W = Fx cos Θ
এই সুত্রে Θ এর মান ৯০ ডিগ্রি বসাই তবে cos90 এর মান হলো শূন্য (০).
cos 90 এর মান শুন্য হলে W এর মান অর্থাৎ কাজের পরিমানও শুন্য হয়।
কারণ,
W = Fx * 0 [cos90 = 0 বসে]
W = 0
তাহলে, এখানে যেহেতু কাজের পরিমান শুন্য হচ্ছে সুতরাং সুর্যের আকর্ষন বল পৃথিবী কে তার কক্ষপথ থেকে এক চুল ও সরাতে পারছে না।
তাহলে ব্যাপার টা দঁাড়ায় যে, পৃথিবী সৃষ্টির সময় যে আদি বেগ নিয়ে সুর্যের চার দিকে ঘোরা শুরু করেছিলো ঠিক সেই পরিমান আদিবেগ এখনো সংরক্ষিত আছে।
এখন একটা প্রশ্ন দেখা দেয়, ওপরের সুত্র দেখাচ্ছে যে "F" এর মান অর্থাৎ সুর্যের বল যদি আরো কয়েক থেকে কয়েক হাজার গুন করা হয় তাহলেও "W" অর্থাৎ কাজ শুন্যই থেকে যাবে। এটা কি করে সম্ভব।
আচ্ছা, এখানেও একটি ইন্টারেষ্টিং ঘটনা আছে সেটা হলো, সুর্যের আকর্ষন বল যদি আরো বেশি হতো তবে পৃথিবী যখন প্রথম তার কক্ষে সচল হয় তখন এই সচল হওয়ার জন্য আরো বেশি আদিবেগ লাগতো। সেই আদি বেগ বর্তমান পর্যন্ত সংরক্ষিত থাকতো। ফলে ঘটনা যা আছে সেটাই ঘটতো।
আর সুর্যের আকর্ষন বল যদি বেশি হতো তবে যে আদি বেগে পৃথিবী সচল হয়েছিলো সেই আদি বেগে পৃথিবীকে লঞ্চ করলে পৃথিবী সুর্যের মধ্যে পড়ে যেত তখনই।
(তাহলে চিন্তা করে দেখেন কত হিসাবের ঘটনা)
আমি মুর্খ মানুষ তাই হয়তো আপনাদের সহজ ভাবে বোঝাতে পারিনি। জ্ঞানী কেউ পোষ্ট টা লিখলে আরো সহজে নিশ্চই বোঝাতে পারতো। তবে আমি জানি যে আপনারা ঠিকি বুঝেছেন কারণ আপনারা আমার চেয়ে বুদ্ধিমান তো বটেই।
[ছবি গুলো গুগোল থেকে নেওয়া। ছবির মালিক যিনি কপি রাইট তার। (কারন জানি না কোন ছবি কার :P) ]