Archive for জুলাই 2014
তারাবির নামাজ কত রাকাত? (বিভ্রান্তির জবাব)
বিষয় টা নিয়ে আলোচনা করতে চেয়েছিলাম না। যাই হোক আমার ছোট্ট মস্তিষ্কের
অসুম্পুন্ন জ্ঞানে আলোচনা করতেই হলো, স্বঘোষিত একদল আহলে হাদিসের
অনুসারীদের লাফালাফি করার কারনে এই লেখা টি লিখতে বসলাম।
প্রথমে সেই দলিল টি দেখে নিই যে টিকে তারা ৮ রাকাত তারাবি নামাজের দিলিল হিসেবে উত্থহাপন করেঃ
হযরত আবু সালমা বিন আব্দুর রহমান থেকে বর্নিত তিনি আয়েশা (রাঃ) কাছে জানতে চান, নবীজী (সাঃ) এর নামাজ কেমন হতো রমাজান মাসে? তিনি (আয়েশা রাঃ) বলেন, রাসূল (সাঃ) রমজান ও রমজান ছাড়া ১১ রাকাত থেকে বাড়াতেন না। তিনি চার রাকাত পড়তেন তুমি এর সৌন্দর্য ও দীর্ঘতা সম্পর্কে জানতে চেওনা, তারপর পড়তেন চার রাকাত পড়তেন। তুমি এর সৌন্দর্য ও দীর্ঘতা সম্পর্কে জানতে চেওনা, তারপর পড়তেন তিন রাকাত। তখন আমি বললাম হে আল্লাহর রাসূল আপনি কি বিতর পড়ার পূর্বে শুয়ে (ঘুমিয়ে) যান? তিনি বললেন, (রাসূল সাঃ) “হে আয়েশা নিশ্চই আমার দুচোখ ঘুমাই, আমার কলব ঘুমায় না”। (সহহী বুখারীঃ বিতর অধ্যায়। হাদিস নং ১৩৫)
স্বঘোষিত আহলে হাদিস অনুসারী রা বলেন যে এই হাদিসের ভিতিতে তারাবি নামাজ ৮ রাকাত। বিভিন্ন হাদিস গ্রন্থে ২০ রাকাত তারাবির পক্ষে প্রচুর দলিল থকলেও তারা এ ব্যাপারে অন্ধ।
এবার আমরা বিচার করে দেখি যে আসল ঘটনা টা কিঃ
হাদিস টির বিশ্লেষনঃ
===============
====
১। হাদিস টা কি আসলে তারাবি নামাজ সম্পর্কে বলছে
--------------- --------------- ----
• এই হাদিস টা যদি তারাবি নামাজ সম্পর্কে হতো তবে এটিকে ইমাম বুখারী (রহঃ) বিতর অধ্যায়ের মধ্য সনযুক্ত করলেন কেনো? তারাবির অধ্যায়ে নয় কেনো? যারা এই হাদিস কে তারাবির দলিল বলে তারা ইমাম বুখারীর (রহঃ) এর চেয়েও বেশি বোঝে।
=============== =====
২। তাহলে হাদিস টি কোন নামাজের কথা বলছে?
--------------- --------------- -----
• কতিপয় আহলে হাদিসের আলেম ছাড়া সবাই একমত যে এই হাদিস টা তাহাজ্জুত নামাজ সম্পর্কে বলছে।
=============== =====
৩। তাহলে হাদিটিতে “রমজান” শব্দ উল্লেখ করা হলো কেনো?
--------------- --------------- -----
• রমজান শব্দ এই জন্য উল্লেখ করা হয়েছে যে, সম্ভবত আয়িশা (রাঃ) কে সম্ভবত জিজ্ঞাসা করা হয়েছিলো যে রাসূল (সাঃ) রমজানে তাহাজ্জুত নামাজ বাড়াতেন কি না। কারন অনেক হাদিস থেকে প্রমনিত যে রাসূল (সাঃ) রমজান মাসে সব এবাদতের পরিমানই বাড়িয়ে দিতেন। তাই আয়িশা (রাঃ) বলেছেন, “রাসূল (সাঃ) রমজান ও রমজান ছাড়া ১১ রাকাত থেকে বাড়াতেন না।”
----------
• আমি যেহেতু “সম্ভবত” কথাটা বললাম যেহেতু অনেকে ধরে নেবেন যে এই ৩ নং পয়েন্ট টি ভুল। যদি আমার ৩ নং পয়েন্ট টি ভুল মানেন, তবে আপনাকে শুধু রমজান মাসে নয় সারা বছর তারাবির নামাজ আদায় করতে হবে। কারন, উম্মুল মুমিনিন আয়িশা (রাঃ) হাদিস টিতে বলেছেন, “রমজান ও রমজান ছাড়া”।
=============== ====
৩। যদি এটা তারাবির নামাজ হয় তবে, “চার রাকাত, চার রাকাত” করে পড়ার কথা বলা হয়েছে কেনো?
--------------- ---------------
• এই হাদিস কে যারা তারাবির দলিল হিসেবে মানেন, তাদের কে বলবো আপনারা যদি আহলে হাদিসই (হাদিস এর অনুসারী) হন তবে, ২ রাকাত ২ রাকাত করে তারাবি পড়েন কেনো? হাদিস অনুসারে চার রাকাত, চার রাকাত করে পরবেন। কারন হাদিস টিতে বলা হয়েছে, “তিনি চার রাকাত পড়তেন তুমি এর সৌন্দর্য ও দীর্ঘতা সম্পর্কে জানতে চেওনা, তারপর পড়তেন চার রাকাত পড়তেন। তুমি এর সৌন্দর্য ও দীর্ঘতা সম্পর্কে জানতে চেওনা, তারপর পড়তেন তিন রাকাত।”
--------------- ---------------
--------------- --------------- ----
এবার ২০ রাকাত তারাবির নামাজের পর্যালোচনাঃ
--------------- --------------- ---
২০ রাকাত তারাবির নামাজ জামাতে আদায় করার নিয়ম প্রতিষ্ঠা করেছেন, হযরত ওমর ফারুক (রাঃ)।
এই নিয়ম টি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিলো “কিয়াস” এর ভিত্তিতে। কিয়াস হলো “একমত বা সহ মত পোষন করা”
কিয়াসের বিভিন্ন স্তর আছে, এই স্তর গুলোর ওপর ভিত্তিকরে কিয়াস এর গ্রহন যোগ্যতা নিধাররন করা হয়, এর আলোচনা ব্যাপক। আমি সংক্ষেপে বলছি,
1. প্রথমত কিয়াস নিধারন করা হয় জামানার ভিত্তিতে, সবচেয়ে শক্তিশালী কিয়াস সাহাবা-কিরামের কিয়াস, তারপর তাবেঈ দের, তারপর তাবে-তাবেঈন দের। এভাবে সময়ের ভিত্তিতে ক্রমান্বয়ে চলতে থাকবে।
2. দ্বিতীয়ত কিয়াস নির্ধারিত হয় সহমতের সংখ্যার ভিত্তিতে। এই হিসাব টি করা হয় সহমতের শতকরা সংখ্যার ভিত্তিতে। শতকরা যতবেশি লোক সহমত হবে, সেই কিয়াস তত বেশি শক্তিশালী হবে।
তাহলে ২০ রাকাত তারাবির কিয়াস টি সবচেয়ে শক্তিশালী কিয়াস। কারণ তা সাহাবী (রাঃ) রা করেছেন। এবং সকল সাহাবী (রাঃ) এই বিষয়ে একমত ছিলেন। এই কিয়াস যারা মানবে না, তারা কিয়াস ই অস্বীকার করে। কারন এর চেয়ে শক্তিশালী কোনো কিয়াস থাকতে পারে না।
৪। স্বঘোষিত আহলে হাদিসের কিছু লোক কিয়াস মানেনা। তাহলে?
• কিয়াস না মানা স্পষ্ট গোমরাহী। কারণ রাসূল (সাঃ) বলেছেন, “আমার উম্মত কখনো কোনো ভ্রান্ত বিষয়ে একমত হবে না।”
• তারপরও যারা কিয়াস মানে না তারাও ২০ রাকাত তারাবি অস্বীকার করতে পারবে না কারন, রাসূল (সাঃ) বলেছেন, “তোমরা আমার ও খুলাফায়ে রাশেদীনের সুন্নত কে আকরে ধরো” (আবু দাউদ, তিরমিজি)। আর ২০ রাকাত তারাবি হলো আমির ঊল মু’মিনিন হযরত ওমর (রাঃ) সহ সকাল সাহাবী দের সুন্নত।
এতো কিছুর পরও যারা বলবে তারাবি, নামাজ ২০ রাকাত পড়া যাবে না। তারা হযরত ওমর (রাঃ) সহ সকল সাহবীদের চেয়েও বেশি হেদায়েত প্রাপ্ত।
বিঃদ্রঃ এই তথাকথিত আহলে হাদিস দের সৃষ্টি করেছে বৃটিষ শাসক রা। তারা ভারত উপমহাদেশ ছেড়েছে। কিন্তু স্বঘোষিত আহলে হাদিস নামাক এক ভাইরাস ইসলামের মধ্য রেখে গেছে, যাদের মুল কাজ হলো ইসলামের ছোটো ছোটো বিষয় নিয়ে ফেতনা সৃষ্টি করা। এদের বংশধর রা নিজেদের অজান্তেই এই কাজ করে যাচ্ছে। এদের আকিদায় এতো বেশি সমস্যা নাই, তাই এদের এদের এখনো খারেজি বলে ঘোষনা করা যায় না। তাই এরা ইসলামের মধ্য বিষ কাটার মতো বিধে থেকে ফেতনা সৃষ্টি করে যাচ্ছে।
আমি আলোচনার কোনো ফাক রাখতে চাই না। তাই ২০ রাকাত তারাবির বিষয় টা আরো ক্লিয়ার করিঃ
ইমাম বুখারীর (রহঃ) হাদিস টা দ্বারা তারাবি নির্দেশ করেন নাই। এতো কিছুর পরও যারা বলবে যে উক্ত হাদিস টি তারাবির। তারা ইমাম বুখারী (রহঃ) কে হযরত ওমর ফারুক (রাঃ) এর ওপরে স্থান দিয়েছেন। এদের কাছে ইমাম বুখারীর (রহঃ) ওমর ফারুক (রাঃ) এর চেয়ে বড়। অথচ ইমাম বুখারীর (রহঃ) এর মর্যাদা হযরত ওমরের পায়ের ধুলোর সমান ও নয়।
এদের কাছে প্রশ্নঃ হযরত ওমরের (রাঃ) কি হাদিস কম পড়েছিলো যে তিনি খাম খেয়ালের বসে ২০ রাকাত তারাবি নির্ধারন করলেন?
=============== =====
কথা একটাই যারা ২০ রাকাত তারাবির বিরোধীতা করে তারা, “”তারা হযরত ওমর (রাঃ) এর চেয়েও বেশি হেদায়েত প্রাপ্ত।
-অপঠিত দৈনিকী
প্রথমে সেই দলিল টি দেখে নিই যে টিকে তারা ৮ রাকাত তারাবি নামাজের দিলিল হিসেবে উত্থহাপন করেঃ
হযরত আবু সালমা বিন আব্দুর রহমান থেকে বর্নিত তিনি আয়েশা (রাঃ) কাছে জানতে চান, নবীজী (সাঃ) এর নামাজ কেমন হতো রমাজান মাসে? তিনি (আয়েশা রাঃ) বলেন, রাসূল (সাঃ) রমজান ও রমজান ছাড়া ১১ রাকাত থেকে বাড়াতেন না। তিনি চার রাকাত পড়তেন তুমি এর সৌন্দর্য ও দীর্ঘতা সম্পর্কে জানতে চেওনা, তারপর পড়তেন চার রাকাত পড়তেন। তুমি এর সৌন্দর্য ও দীর্ঘতা সম্পর্কে জানতে চেওনা, তারপর পড়তেন তিন রাকাত। তখন আমি বললাম হে আল্লাহর রাসূল আপনি কি বিতর পড়ার পূর্বে শুয়ে (ঘুমিয়ে) যান? তিনি বললেন, (রাসূল সাঃ) “হে আয়েশা নিশ্চই আমার দুচোখ ঘুমাই, আমার কলব ঘুমায় না”। (সহহী বুখারীঃ বিতর অধ্যায়। হাদিস নং ১৩৫)
স্বঘোষিত আহলে হাদিস অনুসারী রা বলেন যে এই হাদিসের ভিতিতে তারাবি নামাজ ৮ রাকাত। বিভিন্ন হাদিস গ্রন্থে ২০ রাকাত তারাবির পক্ষে প্রচুর দলিল থকলেও তারা এ ব্যাপারে অন্ধ।
এবার আমরা বিচার করে দেখি যে আসল ঘটনা টা কিঃ
হাদিস টির বিশ্লেষনঃ
===============
১। হাদিস টা কি আসলে তারাবি নামাজ সম্পর্কে বলছে
---------------
• এই হাদিস টা যদি তারাবি নামাজ সম্পর্কে হতো তবে এটিকে ইমাম বুখারী (রহঃ) বিতর অধ্যায়ের মধ্য সনযুক্ত করলেন কেনো? তারাবির অধ্যায়ে নয় কেনো? যারা এই হাদিস কে তারাবির দলিল বলে তারা ইমাম বুখারীর (রহঃ) এর চেয়েও বেশি বোঝে।
===============
২। তাহলে হাদিস টি কোন নামাজের কথা বলছে?
---------------
• কতিপয় আহলে হাদিসের আলেম ছাড়া সবাই একমত যে এই হাদিস টা তাহাজ্জুত নামাজ সম্পর্কে বলছে।
===============
৩। তাহলে হাদিটিতে “রমজান” শব্দ উল্লেখ করা হলো কেনো?
---------------
• রমজান শব্দ এই জন্য উল্লেখ করা হয়েছে যে, সম্ভবত আয়িশা (রাঃ) কে সম্ভবত জিজ্ঞাসা করা হয়েছিলো যে রাসূল (সাঃ) রমজানে তাহাজ্জুত নামাজ বাড়াতেন কি না। কারন অনেক হাদিস থেকে প্রমনিত যে রাসূল (সাঃ) রমজান মাসে সব এবাদতের পরিমানই বাড়িয়ে দিতেন। তাই আয়িশা (রাঃ) বলেছেন, “রাসূল (সাঃ) রমজান ও রমজান ছাড়া ১১ রাকাত থেকে বাড়াতেন না।”
----------
• আমি যেহেতু “সম্ভবত” কথাটা বললাম যেহেতু অনেকে ধরে নেবেন যে এই ৩ নং পয়েন্ট টি ভুল। যদি আমার ৩ নং পয়েন্ট টি ভুল মানেন, তবে আপনাকে শুধু রমজান মাসে নয় সারা বছর তারাবির নামাজ আদায় করতে হবে। কারন, উম্মুল মুমিনিন আয়িশা (রাঃ) হাদিস টিতে বলেছেন, “রমজান ও রমজান ছাড়া”।
===============
৩। যদি এটা তারাবির নামাজ হয় তবে, “চার রাকাত, চার রাকাত” করে পড়ার কথা বলা হয়েছে কেনো?
---------------
• এই হাদিস কে যারা তারাবির দলিল হিসেবে মানেন, তাদের কে বলবো আপনারা যদি আহলে হাদিসই (হাদিস এর অনুসারী) হন তবে, ২ রাকাত ২ রাকাত করে তারাবি পড়েন কেনো? হাদিস অনুসারে চার রাকাত, চার রাকাত করে পরবেন। কারন হাদিস টিতে বলা হয়েছে, “তিনি চার রাকাত পড়তেন তুমি এর সৌন্দর্য ও দীর্ঘতা সম্পর্কে জানতে চেওনা, তারপর পড়তেন চার রাকাত পড়তেন। তুমি এর সৌন্দর্য ও দীর্ঘতা সম্পর্কে জানতে চেওনা, তারপর পড়তেন তিন রাকাত।”
---------------
---------------
এবার ২০ রাকাত তারাবির নামাজের পর্যালোচনাঃ
---------------
২০ রাকাত তারাবির নামাজ জামাতে আদায় করার নিয়ম প্রতিষ্ঠা করেছেন, হযরত ওমর ফারুক (রাঃ)।
এই নিয়ম টি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিলো “কিয়াস” এর ভিত্তিতে। কিয়াস হলো “একমত বা সহ মত পোষন করা”
কিয়াসের বিভিন্ন স্তর আছে, এই স্তর গুলোর ওপর ভিত্তিকরে কিয়াস এর গ্রহন যোগ্যতা নিধাররন করা হয়, এর আলোচনা ব্যাপক। আমি সংক্ষেপে বলছি,
1. প্রথমত কিয়াস নিধারন করা হয় জামানার ভিত্তিতে, সবচেয়ে শক্তিশালী কিয়াস সাহাবা-কিরামের কিয়াস, তারপর তাবেঈ দের, তারপর তাবে-তাবেঈন দের। এভাবে সময়ের ভিত্তিতে ক্রমান্বয়ে চলতে থাকবে।
2. দ্বিতীয়ত কিয়াস নির্ধারিত হয় সহমতের সংখ্যার ভিত্তিতে। এই হিসাব টি করা হয় সহমতের শতকরা সংখ্যার ভিত্তিতে। শতকরা যতবেশি লোক সহমত হবে, সেই কিয়াস তত বেশি শক্তিশালী হবে।
তাহলে ২০ রাকাত তারাবির কিয়াস টি সবচেয়ে শক্তিশালী কিয়াস। কারণ তা সাহাবী (রাঃ) রা করেছেন। এবং সকল সাহাবী (রাঃ) এই বিষয়ে একমত ছিলেন। এই কিয়াস যারা মানবে না, তারা কিয়াস ই অস্বীকার করে। কারন এর চেয়ে শক্তিশালী কোনো কিয়াস থাকতে পারে না।
৪। স্বঘোষিত আহলে হাদিসের কিছু লোক কিয়াস মানেনা। তাহলে?
• কিয়াস না মানা স্পষ্ট গোমরাহী। কারণ রাসূল (সাঃ) বলেছেন, “আমার উম্মত কখনো কোনো ভ্রান্ত বিষয়ে একমত হবে না।”
• তারপরও যারা কিয়াস মানে না তারাও ২০ রাকাত তারাবি অস্বীকার করতে পারবে না কারন, রাসূল (সাঃ) বলেছেন, “তোমরা আমার ও খুলাফায়ে রাশেদীনের সুন্নত কে আকরে ধরো” (আবু দাউদ, তিরমিজি)। আর ২০ রাকাত তারাবি হলো আমির ঊল মু’মিনিন হযরত ওমর (রাঃ) সহ সকাল সাহাবী দের সুন্নত।
এতো কিছুর পরও যারা বলবে তারাবি, নামাজ ২০ রাকাত পড়া যাবে না। তারা হযরত ওমর (রাঃ) সহ সকল সাহবীদের চেয়েও বেশি হেদায়েত প্রাপ্ত।
বিঃদ্রঃ এই তথাকথিত আহলে হাদিস দের সৃষ্টি করেছে বৃটিষ শাসক রা। তারা ভারত উপমহাদেশ ছেড়েছে। কিন্তু স্বঘোষিত আহলে হাদিস নামাক এক ভাইরাস ইসলামের মধ্য রেখে গেছে, যাদের মুল কাজ হলো ইসলামের ছোটো ছোটো বিষয় নিয়ে ফেতনা সৃষ্টি করা। এদের বংশধর রা নিজেদের অজান্তেই এই কাজ করে যাচ্ছে। এদের আকিদায় এতো বেশি সমস্যা নাই, তাই এদের এদের এখনো খারেজি বলে ঘোষনা করা যায় না। তাই এরা ইসলামের মধ্য বিষ কাটার মতো বিধে থেকে ফেতনা সৃষ্টি করে যাচ্ছে।
আমি আলোচনার কোনো ফাক রাখতে চাই না। তাই ২০ রাকাত তারাবির বিষয় টা আরো ক্লিয়ার করিঃ
ইমাম বুখারীর (রহঃ) হাদিস টা দ্বারা তারাবি নির্দেশ করেন নাই। এতো কিছুর পরও যারা বলবে যে উক্ত হাদিস টি তারাবির। তারা ইমাম বুখারী (রহঃ) কে হযরত ওমর ফারুক (রাঃ) এর ওপরে স্থান দিয়েছেন। এদের কাছে ইমাম বুখারীর (রহঃ) ওমর ফারুক (রাঃ) এর চেয়ে বড়। অথচ ইমাম বুখারীর (রহঃ) এর মর্যাদা হযরত ওমরের পায়ের ধুলোর সমান ও নয়।
এদের কাছে প্রশ্নঃ হযরত ওমরের (রাঃ) কি হাদিস কম পড়েছিলো যে তিনি খাম খেয়ালের বসে ২০ রাকাত তারাবি নির্ধারন করলেন?
===============
কথা একটাই যারা ২০ রাকাত তারাবির বিরোধীতা করে তারা, “”তারা হযরত ওমর (রাঃ) এর চেয়েও বেশি হেদায়েত প্রাপ্ত।
-অপঠিত দৈনিকী
ফিলিস্তিন-ইজরাইল যুদ্ধ বিরতি?!!!!
ফিলিস্তিন-ইজরাই
ল
প্রসঙ্গে জাতিসংঘ ও তথাকথিত পশ্চিমা সম্রাজ্যবাদের জন্য প্রতিষ্ঠিত সংগঠন
গুলো “যুদ্ধ বিরতির” কথা বলছে, আমী হতবাগ তাদের কথায়। এখানে যুদ্ধবিরতির
কথা আসছে কোথায় থেকে? যেখানে যুদ্ধই নাই।
এমন একটা বর্বর নির্মম মুসলিম দমন কে তারা “গনহত্যা” না বলে “যুদ্ধ” বলছে কেনো?
ফিলিস্তিন থেকে যে প্রতিরোধ করার চেষ্টা করা হচ্ছে তার উদাহরন যেনো ঢিল মেরে ট্যাংক ধ্বংস করা।
ইজরাইলের মদদ দাতা পশ্চিমা এটাকে যুদ্ধ হিসেবে আখ্যায়িত করছে এই কারণে, যেনো তাদেরকে এই নির্মম মানবতা বিরোধী বর্বর গনহত্যায় মুসলিম দের সাহায্য করতে না হয়।
নবী-রাসূলদের আগমনে ধন্য ফিলিস্তিনের ভূমিতে আজ মুসলমানরা হয়ে আছে প্রবাসী। ভুখন্ডহীন যাযাবর জাতি ইহুদীরা উড়ে এসে জুড়ে বসে নিজেদের রাজত্য প্রতিষ্ঠা করতে খুব লাফালাফি করতেছে। যেনো মরিবার তরে পিপিলিকার পাখা গজিয়েছে।
আল্লাহ এদের সম্পর্কে বলেন,
“কাফেররা যেন মনে না করে যে আমি যে, অবকাশ দান করি, তা তাদের পক্ষে কল্যাণকর। আমি তো তাদেরকে অবকাশ দেই যাতে করে তারা পাপে উন্নতি লাভ করতে পারে। বস্তুতঃ তাদের জন্য রয়েছে লাঞ্ছনাজনক শাস্তি।” (৩:১২৮)
ফিলিস্তিনের বর্তমান অবস্থার জন্য দায়ী মুসলমানরা নিজেই। কারণ মুসলমানরা জিহাদ বিহীন শান্তি কামনা শুরু করেছে, যা অসম্ভব।
আল্লাহ এই মুসলমান দের সম্পর্কে বলেন,
“তুমি কি সেসব লোককে দেখনি, যাদেরকে নির্দেশ দেয়া হয়েছিল যে, তোমরা নিজেদের হাতকে সংযত রাখ, নামায কায়েম কর এবং যাকাত দিতে থাক? অতঃপর যখন তাদের প্রতি জেহাদের নির্দেশ দেয়া হল, তৎক্ষণাৎ তাদের মধ্যে একদল লোক মানুষকে ভয় করতে আরম্ভ করল, যেমন করে ভয় করা হয় আল্লাহকে। এমন কি তার চেয়েও অধিক ভয়। আর বলতে লাগল, হায় পালনকর্তা, কেন আমাদের উপর যুদ্ধ ফরজ করলে! আমাদেরকে কেন আরও কিছুকাল অবকাশ দান করলে না। ( হে রসূল) তাদেরকে বলে দিন, পার্থিব ফায়দা সীমিত। আর আখেরাত পরহেযগারদের জন্য উত্তম। আর তোমাদের অধিকার একটি সূতা পরিমান ও খর্ব করা হবে না।”
ভয়ের কিছু নাই দুঃভাগ্য আপনার আর আমার। কারণ আমি আর আপনি শহীদ হয়ে জান্নাতের অধিবাসী হতে পারলাম না, রাসূল (সাঃ) ভবিষ্যত বানী করে গেছেন, “যতদিন না ইহুদীদের বিরুদ্ধে মুসলমানরা জয় লাভ করবে ততদিন কেয়ামত হবে না”
অর্থাৎ মুসলমানদের হাতে ইহুদীদের পতন আনিবার্য।
যুদ্ধ বিরিতি হলেই পরিস্থিতি ঠিক হয়ে গেছে বলে মনে করবেন না। ইহুদীরা জন্মগত ভাবেই মুসলমানদের শত্রু।
তাই জাগো হে বীর মুজাহিদ, জিহাদে ঝাপিয়ে পড়ো, মুসলমানদের বিজয় ত্বরান্বিত করো। সবাই জিহাদের মনোভাব পোষন করুন।
আল্লাহর রাসূল (সাঃ) বলেছেন, “যার শহিদী মৃত্যুর তামান্না নাই, তার মৃত্যু জাহিলিয়াতের মৃত্যু…”
বর্তমানে আমাদের করনীয়, যথাসম্ভব ইজিরাইলি পন্য বর্জন করুন। ইজরাইলি পানিয়তে (ড্রিংক্স) বাজার সয়লাব। যেমন: কোকাকোলা, পেপসি, কোকাকোলা ও পেপসি সিরিজের সব ড্রিংক্স, আর সি, সেভেন আপ ইত্যাদি। রোজার মওসুমে এসব ইজরাইলি পানিয় পরিত্যাগ করুন। কারন এই সময়েই এই পানিয় ব্যাবসা জমজমাট।
এমন একটা বর্বর নির্মম মুসলিম দমন কে তারা “গনহত্যা” না বলে “যুদ্ধ” বলছে কেনো?
ফিলিস্তিন থেকে যে প্রতিরোধ করার চেষ্টা করা হচ্ছে তার উদাহরন যেনো ঢিল মেরে ট্যাংক ধ্বংস করা।
ইজরাইলের মদদ দাতা পশ্চিমা এটাকে যুদ্ধ হিসেবে আখ্যায়িত করছে এই কারণে, যেনো তাদেরকে এই নির্মম মানবতা বিরোধী বর্বর গনহত্যায় মুসলিম দের সাহায্য করতে না হয়।
নবী-রাসূলদের আগমনে ধন্য ফিলিস্তিনের ভূমিতে আজ মুসলমানরা হয়ে আছে প্রবাসী। ভুখন্ডহীন যাযাবর জাতি ইহুদীরা উড়ে এসে জুড়ে বসে নিজেদের রাজত্য প্রতিষ্ঠা করতে খুব লাফালাফি করতেছে। যেনো মরিবার তরে পিপিলিকার পাখা গজিয়েছে।
আল্লাহ এদের সম্পর্কে বলেন,
“কাফেররা যেন মনে না করে যে আমি যে, অবকাশ দান করি, তা তাদের পক্ষে কল্যাণকর। আমি তো তাদেরকে অবকাশ দেই যাতে করে তারা পাপে উন্নতি লাভ করতে পারে। বস্তুতঃ তাদের জন্য রয়েছে লাঞ্ছনাজনক শাস্তি।” (৩:১২৮)
ফিলিস্তিনের বর্তমান অবস্থার জন্য দায়ী মুসলমানরা নিজেই। কারণ মুসলমানরা জিহাদ বিহীন শান্তি কামনা শুরু করেছে, যা অসম্ভব।
আল্লাহ এই মুসলমান দের সম্পর্কে বলেন,
“তুমি কি সেসব লোককে দেখনি, যাদেরকে নির্দেশ দেয়া হয়েছিল যে, তোমরা নিজেদের হাতকে সংযত রাখ, নামায কায়েম কর এবং যাকাত দিতে থাক? অতঃপর যখন তাদের প্রতি জেহাদের নির্দেশ দেয়া হল, তৎক্ষণাৎ তাদের মধ্যে একদল লোক মানুষকে ভয় করতে আরম্ভ করল, যেমন করে ভয় করা হয় আল্লাহকে। এমন কি তার চেয়েও অধিক ভয়। আর বলতে লাগল, হায় পালনকর্তা, কেন আমাদের উপর যুদ্ধ ফরজ করলে! আমাদেরকে কেন আরও কিছুকাল অবকাশ দান করলে না। ( হে রসূল) তাদেরকে বলে দিন, পার্থিব ফায়দা সীমিত। আর আখেরাত পরহেযগারদের জন্য উত্তম। আর তোমাদের অধিকার একটি সূতা পরিমান ও খর্ব করা হবে না।”
ভয়ের কিছু নাই দুঃভাগ্য আপনার আর আমার। কারণ আমি আর আপনি শহীদ হয়ে জান্নাতের অধিবাসী হতে পারলাম না, রাসূল (সাঃ) ভবিষ্যত বানী করে গেছেন, “যতদিন না ইহুদীদের বিরুদ্ধে মুসলমানরা জয় লাভ করবে ততদিন কেয়ামত হবে না”
অর্থাৎ মুসলমানদের হাতে ইহুদীদের পতন আনিবার্য।
যুদ্ধ বিরিতি হলেই পরিস্থিতি ঠিক হয়ে গেছে বলে মনে করবেন না। ইহুদীরা জন্মগত ভাবেই মুসলমানদের শত্রু।
তাই জাগো হে বীর মুজাহিদ, জিহাদে ঝাপিয়ে পড়ো, মুসলমানদের বিজয় ত্বরান্বিত করো। সবাই জিহাদের মনোভাব পোষন করুন।
আল্লাহর রাসূল (সাঃ) বলেছেন, “যার শহিদী মৃত্যুর তামান্না নাই, তার মৃত্যু জাহিলিয়াতের মৃত্যু…”
বর্তমানে আমাদের করনীয়, যথাসম্ভব ইজিরাইলি পন্য বর্জন করুন। ইজরাইলি পানিয়তে (ড্রিংক্স) বাজার সয়লাব। যেমন: কোকাকোলা, পেপসি, কোকাকোলা ও পেপসি সিরিজের সব ড্রিংক্স, আর সি, সেভেন আপ ইত্যাদি। রোজার মওসুমে এসব ইজরাইলি পানিয় পরিত্যাগ করুন। কারন এই সময়েই এই পানিয় ব্যাবসা জমজমাট।
Posted by Niamul Hasan