ঈশ্বর কি তবে সর্ব শক্তিমান নন?
এই বিষয় টা নিয়েই কেন- সেটা আগে বলি, "জনাব জাকির" সাহেবের একটি লেকচারে শুনেছিলাম। তিনি বলছেন,
"ঈশ্বর সবকিছু করতে পারবেন না। তিনি মিথ্যা কথা বলতে পারবেন না। তিনি সন্তান রাখতে পারবেন না।"
সেই সাথে একটি কুটাভাসের (প্যারাডক্স) কথা তিনি বলেন,
"ঈশ্বর কি জানেন যে আগামীকাল তিনি কি করবেন? যদি জানেন তবে আগামীকাল কি তার ব্যাতিক্রম করতে পারবেন না? যদি ব্যাতিক্রম করতে পারেন তবে গতকাল তিনি ভুল জানতেন। আর যদি ব্যাতিক্রম করতে না পারেন তবে তিনি সর্বসশক্তিমান নন।"
এর পর তিনি বলেন তিনি নাকি এরোকম হাজার টি কাজের লিষ্ট করতে পারবেন যা ঈশ্বার করতে পারবেন না।
তাই তার মতে ঈশ্বর সর্ব শক্তিমান নন।
এটা যে কুরয়ানের শিক্ষা বিরোধী তাতে সন্দেহ নাই। এ ইস্যুতে অনেক বিখ্যাত আলেম জাকির নায়েক কে কাফের ফতোয়া দিয়েছেন।
কাফের হওয়ার জন্য কুরআনের একটা আয়াতের বিরোধীতা করাই যথেষ্ঠ। কুরয়ানে অসংখ্য বার বলা আছে আল্লাহ সর্বশক্তিমান।
"ঈশ্বর কি তাহলে সর্ব শক্তিমান নন?"
সতর্ক বার্তাঃ কাঠমোল্লা দের জন্য এই পোষ্ট টি নয়। যদি আপনি কাঠমোল্লা হয়ে পোষ্ট টি পড়তে আসেন তবে আপনার জন্য এটি একটি শয়তানী ওয়াস-ওয়াসা হতে পারে যার ফলে আপনার ঈমানের ক্ষতি হতেপারে।
এই পোষ্ট টি শুধুমাত্র শক্ত ঈমানদার দের জন্য এবং নাস্তিক দের জন্য। মাঝামাঝি কেও এই পোষ্ট টি দয়া করে পড়তে আসবেন না। এটি কোনো "ধর্মীয়" পোষ্ট নয় বরং "যুক্তি ও সাধারণ দর্শনবিদ্যার" র পোষ্ট।
১টি প্রশ্নঃ
"সর্বশক্তিমান ঈশ্বর কি এমন কোনো ভারি জিনিস তৈরি করতে পারবেন যেটা তোলা সম্ভব নয়?"
উক্ত প্যারাডক্স বা "কুটাভাস" অনুসারে ঈশ্বর যদি এমন জিনিস তৈরি করতে সক্ষম হন- যা তোলা সরানো সম্ভব নয়;
তাহলে,
(ক) তিনি যদি তার তৈরি করা জিনিস তুলতে না পারেন তবে তিনি সর্বশক্তিমান থাকেন কিভাবে?
(খ) আর তিনি যদি তার তৈরি করা জিনিস তুলতে পারেন তবে তা "তোলা সম্ভব নয়" কথাটি সত্য হলো কি করে? অর্থাৎ তিনি যা ইচ্ছা তাই তৈরি করতে পারেন নি।
তাহলে ঈশ্বর সর্বশক্তিমান হন কি করে?
কি কথাটা কি আপনার বিশ্বাসের ভিত্তি তে তে আঘাত করলো?
যদি করে তবে আপনার উচিৎ শেষ পর্যন্ত পড়া।
এটি আসলে এমন একটি "প্যারাডক্স" বা "কুটাভাস" যা লজিক বা যুক্তির বিপরীত।
এরোকম আরো একটি "কুটাভাস" হলো,
"ঈশ্বর কি এমন একটি বৃত্ত আঁকতে পারবেন যা বর্গাকার?"
ঈশ্বর আসলে আমাদের কে এমন একটি জগতে পাঠিয়েছেন যুক্তি যে জগতের অনেক গুরুত্বপূর্ন একটি নিয়ম। যুক্তির বিপরীতে কিছু ঘটা তো দূরে থাক আমাদের জন্য কিছু কল্পনাও করা দূরহ।
যুক্তির নিয়ম হলো, "যুক্তিকে খন্ডন করতে হয় যুক্তি দিয়ে।"
আর আপনার উক্ত এই প্রশ্ন গুলো আসলে সাধারণ যুক্তির বিপরীত। অর্থাৎ এই সমস্যা গুলো "অযৌক্তিক"
তাই "অযৌক্তিক" জিনিস খন্ডন করতে হবে "অযুক্তি" দিয়ে, অর্থাৎ যুক্তির বিপরীতে। কারণ এটাই যুক্তির নিয়ম।
আর কোন ঘটনা ঘটার "যুক্তি" বা "কারণ" হয় শুধুমাত্র একটি (একাধিক ও হতে পারে কিন্তু ঘটনা সমষ্টি একটি) কিন্তু সেই ঘটনা টা ঘটার "অযুক্তির" কোনো সীমানা নাই। একটি ঘটনা ঘটার যুক্তি একটি কিন্তু ঐ ঘটনা টি ঘটার "অযুক্তি" অসীম সংখ্যক।
কি তালগোল পাকিয়ে যাচ্ছে? তাহলে একটি পানির মত সহজ উদাহরণ দেই,
মনে করেন আপনি আমার গালে একটি থাপ্পড় মেরেছেন তাই আমার গাল লাল হয়েছে।
তাহলে এখানে আমার "গাল লাল" হওয়ার যুক্তি শুধুমাত্র একটি সেটি হলো, "আপনি আমাকে থাপ্পর মেরেছেন।"
কিন্তু আমার গাল লাল হওয়ার "অযুক্তি" -র সংখ্যা হাজারটি- যেমন,
১। পানির রঙ স্বচ্ছ, তাই আমার গাল লাল হয়েছে।
২। ১+১ এ ২ হয়, তাই আমার গাল লাল হয়েছে।
৩। ১+১ এ ৫ হয় না, তাই আমার গাল লাল হয়েছে।
৪। ইংরেজ একটি তেল চোরা জাতি, তাই আমার গাল লাল হয়েছে।
৫। প্রেসিডেন্ট ওবামা দাঁত মাজেন না, তাই আমার গাল লাল হয়েছে।
.......
........
........
এভাবে আমার গাল লাল হওয়ার পেছনে "অযুক্তি" অসীম সংখ্যক হতে পারে। কিন্তু আপনার কাছে "যুক্তি" হতে পারে মাত্র একটি। কারণ আপনি আমাকে নিজ হাতে থাপ্পড় মেরেছেন।
তাই প্রথমোক্ত "অযৌক্তিক" সমস্যার সমাধান অসীম সংখ্যক ভাবে "অযুক্তি" দিয়ে করা সম্ভব হবে।
আর এই সমস্যার সমাধান যখন "অযুক্তি" দিয়ে করা হবে তা "আপনার বোধগম্য" হবে না। কারণ আপনি বাস করেন যুক্তির জগতে যেখানে আপনি "অযৌক্তিক" কিছু কল্পনা পর্যন্ত করতে পারেন না।
কিন্তু বিশ্বাস করুন মানুষের মস্তিষ্কে এত সহজে কোনো অযৌক্তিক কিছু যৌক্তিক বা বিশ্বাসযোগ্য হিসেবে গৃহীত হয় না।
উক্ত সমস্যার সমাধানঃ
তাই যৌক্তিক উপায়েই প্যারাডক্স গুলোর সমাধানে যুক্তি দাঁড় করানো যায়। এখন আমি উক্ত প্যারাডক্স টির যৌক্তিক সমাধান দেব।
তাই,
ওপরের শুধু প্যারাডক্স টি ছাড়া যত কথা বলেছি সব ভুলে যান, মনে করেন যুক্তি নামক মানবিক দূর্বলতা দ্বারা আমি আপনার মস্তিষ্ক নিয়ে একটু খেলা করলাম। আর ওপরের কথা গুলো আপনার মাথার ওপরে দিয়ে গেলে আরো ভালো।
এখন আসেন শুরু করি,
উক্ত কুটাভাস টি যুক্তিবিদ্যার অনেক ক্লাসিক একটি বিষয়। এবং যৌক্তিক সমাধান ও আছে।
তাহলে "ঈশ্বর কি এমন কিছু ভারি বানাতে সক্ষম যা তোলা সম্ভব নয়।"
উত্তর হলো "হ্যা" অবশ্যই তিনি এরূপ কিছু বানাতে পারবেন।
*"তাহলে তিনি সেই জিনিস টা তৈরি করার পর নিজে সেটি তুলতে পারবেন?"
এর উত্তর হলো "অবশ্যই সেটি তুলতে পারবেন?"
*তিনি যদি সেটিকে তুলতে পারেন তবে সেটি "তোলা সম্ভব নয়" এমন জিনিস হলো কি করে?
এর উত্তর হলো- অবশ্যই "সেটি তোলা সম্ভব নয়" এমন জিনিস। কিন্তু তিনি সেটাকে তুলতে পারবেন কারণ, "তিনি অসম্ভব কে সম্ভব করতে পারেন।" জিনিস টা তখনো আসলেই "তোলা সম্ভব নয়" এমন জিনিস।
কিন্তু তিনি সেটা তুলতে পারছেন কারণ, "ঈশ্বারের গুণাবলী ই হচ্ছে অসম্ভব কাজ করা।"
তাই লজিক টা হলো,
তিনি যেহেতু "অসম্ভব" কাজ করছেন অর্থাৎ "জিনিস টাকে তুলছেন" সেহেতু জিনিস টা তোলা "অসম্ভব"।
সমাধান সব কিছু লজিকের মধ্যই আছে; লজিকের বিপরীতে কিচ্ছু যাচ্ছে না।
(অবশ্যই এটি আমার যুক্তি নয়, যুক্তি টি নিশ্চই কোনো বড় মাপের ফিলোসফারের। আমি শুধু নিজের ভাষায় ব্যাখ্যা করে লেখার চেষ্টা করেছি মাত্র।)
লজিক হলো জগতের একটি সীমাবদ্ধতা। জীবদ্দশায় আমরা কখনো লজিকহীন হতে পারবোনা। যেমনঃ "পাগল লজিক ছাড়া কথা বলে" এ ঘটনার লজিক হলো, "সে তো পাগল তার বৈশিষ্ট হলো লজিক ছাড়া কথা বলা"
এই পৃথিবী তে একটি মাত্র বিশেষ অবস্থা আছে যখন মানুষ লজিক্যাল জগতের একটু হলেও বাইরে চলে যায়, সেটা হলো "স্বপ্ন"
"স্বপ্নের" একটি বৈশিষ্ট্য হলো "স্বপ্নের ঘটনার কোনো লজিক নাই।"
যেমন, আপনি একটি মানুষকে স্বপ্নে দেখছেন পরক্ষনেই দেখছেন সেই মানুষ টি হলো অন্য কোন মানুষ; অথবা সে হয়ে গেছে হয়ে গেছে- অন্য কোন মানুষ। আগে যে মানুষটিকে আপনি দেখছিলেন এ সে নয়; এবং ঠিক তখন (অর্থাৎ স্বপ্ন দেখার সময়) এই অযৌক্তিক ঘটনা কিভাবে ঘটলো এ চিন্তা করা ছাড়াই আপনি অকপটে মেনে নেন যে হ্যা সেই আগের মানুষ টি অন্য মানুষ হয়ে গিয়েছে।
লজিক হলো মানুষের মনের "সীমাবদ্ধতা" ;
মানবসম্প্রদায় যুক্তির সীমায় আবদ্ধ।
এবং যুক্তি কখনোই জগত সমূহের নিয়ম নয়। যুক্তি হলো শুধু আমি বা আমরা যে জগতে বাস করি সেই জগতের নিয়ম।
কোন যুক্তিবাদী বন্ধু হয়ত বা বলবেন যুক্তির অস্তিত্ব সব জগতেই আছে; কিন্তু তা আপেক্ষিক। অর্থাৎ বিভিন্ন জগতে যুক্তি বিভিন্ন রকম।
-এ কথা কেউ বললে আমি তার বিরোধীতা করতে চাইলেও করতে পারবো না।
"বিভিন্ন জগতে যুক্তি বিভিন্ন রকম" এই ব্যাপারটা কি আপনার মাথার ওপর দিয়ে গেলো?
আচ্ছা একটা উদাহরণ দিচ্ছি,
(আপনাকে এখন একটু কল্পনা প্রবন হতে হবে)
মনে করেন, একটি জগৎ আছে যেটি দ্বিমাতৃক অর্থাৎ সেই জগতের মাত্রা মাত্র দুটি, দৈর্ঘ্য এবং প্রস্থ।
ব্যাপার টা আরো সহজ করার জন্য একটি সাদা কাগজ কে দ্বিমাতৃক জগৎ ধরে নেই।
এবার সেই দ্বিমাতৃক জগতে একটি বৃত্ত কল্পনা করুন। অর্থাৎ সাদা পৃষ্ঠায় একটা বৃত্ত অংকন করুন। এখন মনে করেন বৃত্তের পরিসীমার বাইরে একটি বিন্দু আছে।
এখন কোনো ভাবে কি বৃত্তের পরিসীমা ক্রস না করে বিন্দুটি কি বৃত্তের ভেতরে প্রবেশ করতে পারবে?
অসম্ভব, ওই বিন্দু টি যদি বৃত্তের পরিধী ভেদ করা ছাড়াই বৃত্তের ভেতরে ঢুকরে চায় সেটা দ্বিমাত্রিক জগতে কোনো ভাবেই সম্ভব না।
কিন্তু এই ঘটনা টিই ত্রিমাতৃক জগতে ঘটা অত্যন্ত সাধারন একটি ব্যাপার।
নিচের চিত্রদুটি টি দেখুন ক্লিয়ার হবে ব্যাপারটা,
=================
প্রথম চিত্রে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন A থেকে B তে যাওয়ার জন্য দ্বিমাতৃক স্পেসে বৃত্তকে ক্রস করতেই হবে।
কিন্তু ২য় চিত্রে আপনারা দেখছেন একই বৃত্ত তৃমাতৃক জগতে আনলে তাকে ক্রস না করেই z অক্ষ অর্থাৎ উচ্চতার দিকে লাফ দিয়ে সহজেই বৃত্ত ক্রস না করে A থেকে B তে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে।
তাহলে বুঝেছেন তো, দ্বিমাত্রিক জগতে যা একেবারেই অসম্ভব, ত্রিমাতৃক জগতে তা অনায়াসে সম্ভব।
এতো বক বক করলাম এখন আপনারা নিশ্চই বুঝতে পারছেন যে, সত্য বা যুক্তির নিয়ম বিভিন্ন জগতে বিভিন্ন রকম। এক জগতে যার ব্যাখ্যা নাই, অন্য জগতে তা অনায়াসে সম্ভব।
আমি সম্ভবত অন্য দিকে চলে গেছি না?
আসুন তবে পয়েন্টে আসি। আমরা একটা প্যারাডক্স নিয়ে আলোচনা করছিলাম। আসেন সেটি সমাধান করি। আরে সমাধান তো করার পরই বক বক শুরু করলাম।
তো আর কিছু তো বাকী নাই, সব বলে দিয়েছি; তাহলে এখানে কি করছেন? যান নিজের কাজ করেন গিয়ে।
এতো যখন বলেই ফেলেছি তবে শেষ একটা কথা বলি, এটুকু যা বলব ধর্মের ব্যাপারে আমার অনুভূতি ও নিজস্ব মন্তব্য এবং সাথে আরো কিছু কথা।
সেটা হলো ধর্ম এমন একটা বিষয় যেটা যুক্তি থেকে পবিত্র। যুক্তি দিয়ে বিচার করে করে ধর্মের নিয়ম মানা মানে ধার্মিক হওয়া নয় বরং কপটতা বা ভান্ডামী করা।
কারণ যুক্তি দাঁড়িয়ে থাকে তথ্যের ওপর আর তথ্য ধ্রুব কোন জিনিস নয়। তথ্য প্রতিনিয়ত নবীকরণ হচ্ছে।
তাই যুক্তি দিয়ে ধর্ম মানলে যুক্তি যখন ভেংগে পড়বে তখন আপনি ধর্ম থেকে দূরে নিক্ষিপ্ত হবেন যুক্তি দ্বারাই।
আচ্ছা আমি আসলে ধর্ম মানি কেন? কারণ যুক্তি দিয়ে আমি কূলকিনারা করতে পারিনি বলেই তো আমি অলৌকিকের আশ্রয় নিয়েছি, ধর্মের নিয়ে জমা হয়েছি।
তাই অলৌকিক কে অলৌকিক মানার পর যদি যুক্তি দিয়ে সেই অলৌকিকে বিচার করতে যান তবে আপনি সিরিয়াল ভন্ড (সিরিয়াল কিলারের মত)। একের পর এক ভন্ডামী আপনি করেই যাচ্ছেন।
তাই ধার্মিক হতে হলে আপনাকে ধর্মান্ধ হতেই হবে।
কারণ আপনার বিশ্বাস সংক্রান্ত যুক্তি উপস্থাপন পর্ব শেষ। এ ব্যাপারে আপনি আপিল অবশ্যই করতে পারবেন। তবে বর্তমান অবস্থানে দাঁড়িয়ে নয়, আপনাকে পূর্বের অবস্থায় ফিরে গিয়ে আপিল করতে হবে।
তবে, ধর্মের অভ্যন্তরীণ বিদ্যমান থাকা একই বিষয়েরএকাধিক আইন আপনি অবশ্যই যুক্তি দিয়ে একটি মেনে নিতে পারেন (অবশ্যই যুক্তি হতে হবে ঔ ধর্মের সূত্রাঅনুযায়ী। আপনার মন গড়া যুক্তি হতে পারবে না।)
তাই আপনার বিশ্বাস ও যুক্তির দন্দ্ব আপনার নিজস্ব চিন্তার ও দর্শনের ব্যাপার। এবং আপনার নিজস্ব দর্শন ধর্মের ওপর চাপানোর কোনো অধিকার নাই আপনার।
"ঈশ্বর সবকিছু করতে পারবেন না। তিনি মিথ্যা কথা বলতে পারবেন না। তিনি সন্তান রাখতে পারবেন না।"
সেই সাথে একটি কুটাভাসের (প্যারাডক্স) কথা তিনি বলেন,
"ঈশ্বর কি জানেন যে আগামীকাল তিনি কি করবেন? যদি জানেন তবে আগামীকাল কি তার ব্যাতিক্রম করতে পারবেন না? যদি ব্যাতিক্রম করতে পারেন তবে গতকাল তিনি ভুল জানতেন। আর যদি ব্যাতিক্রম করতে না পারেন তবে তিনি সর্বসশক্তিমান নন।"
এর পর তিনি বলেন তিনি নাকি এরোকম হাজার টি কাজের লিষ্ট করতে পারবেন যা ঈশ্বার করতে পারবেন না।
তাই তার মতে ঈশ্বর সর্ব শক্তিমান নন।
এটা যে কুরয়ানের শিক্ষা বিরোধী তাতে সন্দেহ নাই। এ ইস্যুতে অনেক বিখ্যাত আলেম জাকির নায়েক কে কাফের ফতোয়া দিয়েছেন।
কাফের হওয়ার জন্য কুরআনের একটা আয়াতের বিরোধীতা করাই যথেষ্ঠ। কুরয়ানে অসংখ্য বার বলা আছে আল্লাহ সর্বশক্তিমান।
"ঈশ্বর কি তাহলে সর্ব শক্তিমান নন?"
সতর্ক বার্তাঃ কাঠমোল্লা দের জন্য এই পোষ্ট টি নয়। যদি আপনি কাঠমোল্লা হয়ে পোষ্ট টি পড়তে আসেন তবে আপনার জন্য এটি একটি শয়তানী ওয়াস-ওয়াসা হতে পারে যার ফলে আপনার ঈমানের ক্ষতি হতেপারে।
এই পোষ্ট টি শুধুমাত্র শক্ত ঈমানদার দের জন্য এবং নাস্তিক দের জন্য। মাঝামাঝি কেও এই পোষ্ট টি দয়া করে পড়তে আসবেন না। এটি কোনো "ধর্মীয়" পোষ্ট নয় বরং "যুক্তি ও সাধারণ দর্শনবিদ্যার" র পোষ্ট।
১টি প্রশ্নঃ
"সর্বশক্তিমান ঈশ্বর কি এমন কোনো ভারি জিনিস তৈরি করতে পারবেন যেটা তোলা সম্ভব নয়?"
উক্ত প্যারাডক্স বা "কুটাভাস" অনুসারে ঈশ্বর যদি এমন জিনিস তৈরি করতে সক্ষম হন- যা তোলা সরানো সম্ভব নয়;
তাহলে,
(ক) তিনি যদি তার তৈরি করা জিনিস তুলতে না পারেন তবে তিনি সর্বশক্তিমান থাকেন কিভাবে?
(খ) আর তিনি যদি তার তৈরি করা জিনিস তুলতে পারেন তবে তা "তোলা সম্ভব নয়" কথাটি সত্য হলো কি করে? অর্থাৎ তিনি যা ইচ্ছা তাই তৈরি করতে পারেন নি।
তাহলে ঈশ্বর সর্বশক্তিমান হন কি করে?
কি কথাটা কি আপনার বিশ্বাসের ভিত্তি তে তে আঘাত করলো?
যদি করে তবে আপনার উচিৎ শেষ পর্যন্ত পড়া।
এটি আসলে এমন একটি "প্যারাডক্স" বা "কুটাভাস" যা লজিক বা যুক্তির বিপরীত।
এরোকম আরো একটি "কুটাভাস" হলো,
"ঈশ্বর কি এমন একটি বৃত্ত আঁকতে পারবেন যা বর্গাকার?"
ঈশ্বর আসলে আমাদের কে এমন একটি জগতে পাঠিয়েছেন যুক্তি যে জগতের অনেক গুরুত্বপূর্ন একটি নিয়ম। যুক্তির বিপরীতে কিছু ঘটা তো দূরে থাক আমাদের জন্য কিছু কল্পনাও করা দূরহ।
যুক্তির নিয়ম হলো, "যুক্তিকে খন্ডন করতে হয় যুক্তি দিয়ে।"
আর আপনার উক্ত এই প্রশ্ন গুলো আসলে সাধারণ যুক্তির বিপরীত। অর্থাৎ এই সমস্যা গুলো "অযৌক্তিক"
তাই "অযৌক্তিক" জিনিস খন্ডন করতে হবে "অযুক্তি" দিয়ে, অর্থাৎ যুক্তির বিপরীতে। কারণ এটাই যুক্তির নিয়ম।
আর কোন ঘটনা ঘটার "যুক্তি" বা "কারণ" হয় শুধুমাত্র একটি (একাধিক ও হতে পারে কিন্তু ঘটনা সমষ্টি একটি) কিন্তু সেই ঘটনা টা ঘটার "অযুক্তির" কোনো সীমানা নাই। একটি ঘটনা ঘটার যুক্তি একটি কিন্তু ঐ ঘটনা টি ঘটার "অযুক্তি" অসীম সংখ্যক।
কি তালগোল পাকিয়ে যাচ্ছে? তাহলে একটি পানির মত সহজ উদাহরণ দেই,
মনে করেন আপনি আমার গালে একটি থাপ্পড় মেরেছেন তাই আমার গাল লাল হয়েছে।
তাহলে এখানে আমার "গাল লাল" হওয়ার যুক্তি শুধুমাত্র একটি সেটি হলো, "আপনি আমাকে থাপ্পর মেরেছেন।"
কিন্তু আমার গাল লাল হওয়ার "অযুক্তি" -র সংখ্যা হাজারটি- যেমন,
১। পানির রঙ স্বচ্ছ, তাই আমার গাল লাল হয়েছে।
২। ১+১ এ ২ হয়, তাই আমার গাল লাল হয়েছে।
৩। ১+১ এ ৫ হয় না, তাই আমার গাল লাল হয়েছে।
৪। ইংরেজ একটি তেল চোরা জাতি, তাই আমার গাল লাল হয়েছে।
৫। প্রেসিডেন্ট ওবামা দাঁত মাজেন না, তাই আমার গাল লাল হয়েছে।
.......
........
........
এভাবে আমার গাল লাল হওয়ার পেছনে "অযুক্তি" অসীম সংখ্যক হতে পারে। কিন্তু আপনার কাছে "যুক্তি" হতে পারে মাত্র একটি। কারণ আপনি আমাকে নিজ হাতে থাপ্পড় মেরেছেন।
তাই প্রথমোক্ত "অযৌক্তিক" সমস্যার সমাধান অসীম সংখ্যক ভাবে "অযুক্তি" দিয়ে করা সম্ভব হবে।
আর এই সমস্যার সমাধান যখন "অযুক্তি" দিয়ে করা হবে তা "আপনার বোধগম্য" হবে না। কারণ আপনি বাস করেন যুক্তির জগতে যেখানে আপনি "অযৌক্তিক" কিছু কল্পনা পর্যন্ত করতে পারেন না।
কিন্তু বিশ্বাস করুন মানুষের মস্তিষ্কে এত সহজে কোনো অযৌক্তিক কিছু যৌক্তিক বা বিশ্বাসযোগ্য হিসেবে গৃহীত হয় না।
উক্ত সমস্যার সমাধানঃ
তাই যৌক্তিক উপায়েই প্যারাডক্স গুলোর সমাধানে যুক্তি দাঁড় করানো যায়। এখন আমি উক্ত প্যারাডক্স টির যৌক্তিক সমাধান দেব।
তাই,
ওপরের শুধু প্যারাডক্স টি ছাড়া যত কথা বলেছি সব ভুলে যান, মনে করেন যুক্তি নামক মানবিক দূর্বলতা দ্বারা আমি আপনার মস্তিষ্ক নিয়ে একটু খেলা করলাম। আর ওপরের কথা গুলো আপনার মাথার ওপরে দিয়ে গেলে আরো ভালো।
এখন আসেন শুরু করি,
উক্ত কুটাভাস টি যুক্তিবিদ্যার অনেক ক্লাসিক একটি বিষয়। এবং যৌক্তিক সমাধান ও আছে।
তাহলে "ঈশ্বর কি এমন কিছু ভারি বানাতে সক্ষম যা তোলা সম্ভব নয়।"
উত্তর হলো "হ্যা" অবশ্যই তিনি এরূপ কিছু বানাতে পারবেন।
*"তাহলে তিনি সেই জিনিস টা তৈরি করার পর নিজে সেটি তুলতে পারবেন?"
এর উত্তর হলো "অবশ্যই সেটি তুলতে পারবেন?"
*তিনি যদি সেটিকে তুলতে পারেন তবে সেটি "তোলা সম্ভব নয়" এমন জিনিস হলো কি করে?
এর উত্তর হলো- অবশ্যই "সেটি তোলা সম্ভব নয়" এমন জিনিস। কিন্তু তিনি সেটাকে তুলতে পারবেন কারণ, "তিনি অসম্ভব কে সম্ভব করতে পারেন।" জিনিস টা তখনো আসলেই "তোলা সম্ভব নয়" এমন জিনিস।
কিন্তু তিনি সেটা তুলতে পারছেন কারণ, "ঈশ্বারের গুণাবলী ই হচ্ছে অসম্ভব কাজ করা।"
তাই লজিক টা হলো,
তিনি যেহেতু "অসম্ভব" কাজ করছেন অর্থাৎ "জিনিস টাকে তুলছেন" সেহেতু জিনিস টা তোলা "অসম্ভব"।
সমাধান সব কিছু লজিকের মধ্যই আছে; লজিকের বিপরীতে কিচ্ছু যাচ্ছে না।
(অবশ্যই এটি আমার যুক্তি নয়, যুক্তি টি নিশ্চই কোনো বড় মাপের ফিলোসফারের। আমি শুধু নিজের ভাষায় ব্যাখ্যা করে লেখার চেষ্টা করেছি মাত্র।)
লজিক হলো জগতের একটি সীমাবদ্ধতা। জীবদ্দশায় আমরা কখনো লজিকহীন হতে পারবোনা। যেমনঃ "পাগল লজিক ছাড়া কথা বলে" এ ঘটনার লজিক হলো, "সে তো পাগল তার বৈশিষ্ট হলো লজিক ছাড়া কথা বলা"
এই পৃথিবী তে একটি মাত্র বিশেষ অবস্থা আছে যখন মানুষ লজিক্যাল জগতের একটু হলেও বাইরে চলে যায়, সেটা হলো "স্বপ্ন"
"স্বপ্নের" একটি বৈশিষ্ট্য হলো "স্বপ্নের ঘটনার কোনো লজিক নাই।"
যেমন, আপনি একটি মানুষকে স্বপ্নে দেখছেন পরক্ষনেই দেখছেন সেই মানুষ টি হলো অন্য কোন মানুষ; অথবা সে হয়ে গেছে হয়ে গেছে- অন্য কোন মানুষ। আগে যে মানুষটিকে আপনি দেখছিলেন এ সে নয়; এবং ঠিক তখন (অর্থাৎ স্বপ্ন দেখার সময়) এই অযৌক্তিক ঘটনা কিভাবে ঘটলো এ চিন্তা করা ছাড়াই আপনি অকপটে মেনে নেন যে হ্যা সেই আগের মানুষ টি অন্য মানুষ হয়ে গিয়েছে।
লজিক হলো মানুষের মনের "সীমাবদ্ধতা" ;
মানবসম্প্রদায় যুক্তির সীমায় আবদ্ধ।
এবং যুক্তি কখনোই জগত সমূহের নিয়ম নয়। যুক্তি হলো শুধু আমি বা আমরা যে জগতে বাস করি সেই জগতের নিয়ম।
কোন যুক্তিবাদী বন্ধু হয়ত বা বলবেন যুক্তির অস্তিত্ব সব জগতেই আছে; কিন্তু তা আপেক্ষিক। অর্থাৎ বিভিন্ন জগতে যুক্তি বিভিন্ন রকম।
-এ কথা কেউ বললে আমি তার বিরোধীতা করতে চাইলেও করতে পারবো না।
"বিভিন্ন জগতে যুক্তি বিভিন্ন রকম" এই ব্যাপারটা কি আপনার মাথার ওপর দিয়ে গেলো?
আচ্ছা একটা উদাহরণ দিচ্ছি,
(আপনাকে এখন একটু কল্পনা প্রবন হতে হবে)
মনে করেন, একটি জগৎ আছে যেটি দ্বিমাতৃক অর্থাৎ সেই জগতের মাত্রা মাত্র দুটি, দৈর্ঘ্য এবং প্রস্থ।
ব্যাপার টা আরো সহজ করার জন্য একটি সাদা কাগজ কে দ্বিমাতৃক জগৎ ধরে নেই।
এবার সেই দ্বিমাতৃক জগতে একটি বৃত্ত কল্পনা করুন। অর্থাৎ সাদা পৃষ্ঠায় একটা বৃত্ত অংকন করুন। এখন মনে করেন বৃত্তের পরিসীমার বাইরে একটি বিন্দু আছে।
এখন কোনো ভাবে কি বৃত্তের পরিসীমা ক্রস না করে বিন্দুটি কি বৃত্তের ভেতরে প্রবেশ করতে পারবে?
অসম্ভব, ওই বিন্দু টি যদি বৃত্তের পরিধী ভেদ করা ছাড়াই বৃত্তের ভেতরে ঢুকরে চায় সেটা দ্বিমাত্রিক জগতে কোনো ভাবেই সম্ভব না।
কিন্তু এই ঘটনা টিই ত্রিমাতৃক জগতে ঘটা অত্যন্ত সাধারন একটি ব্যাপার।
নিচের চিত্রদুটি টি দেখুন ক্লিয়ার হবে ব্যাপারটা,
=================
প্রথম চিত্রে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন A থেকে B তে যাওয়ার জন্য দ্বিমাতৃক স্পেসে বৃত্তকে ক্রস করতেই হবে।
কিন্তু ২য় চিত্রে আপনারা দেখছেন একই বৃত্ত তৃমাতৃক জগতে আনলে তাকে ক্রস না করেই z অক্ষ অর্থাৎ উচ্চতার দিকে লাফ দিয়ে সহজেই বৃত্ত ক্রস না করে A থেকে B তে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে।
তাহলে বুঝেছেন তো, দ্বিমাত্রিক জগতে যা একেবারেই অসম্ভব, ত্রিমাতৃক জগতে তা অনায়াসে সম্ভব।
এতো বক বক করলাম এখন আপনারা নিশ্চই বুঝতে পারছেন যে, সত্য বা যুক্তির নিয়ম বিভিন্ন জগতে বিভিন্ন রকম। এক জগতে যার ব্যাখ্যা নাই, অন্য জগতে তা অনায়াসে সম্ভব।
আমি সম্ভবত অন্য দিকে চলে গেছি না?
আসুন তবে পয়েন্টে আসি। আমরা একটা প্যারাডক্স নিয়ে আলোচনা করছিলাম। আসেন সেটি সমাধান করি। আরে সমাধান তো করার পরই বক বক শুরু করলাম।
তো আর কিছু তো বাকী নাই, সব বলে দিয়েছি; তাহলে এখানে কি করছেন? যান নিজের কাজ করেন গিয়ে।
এতো যখন বলেই ফেলেছি তবে শেষ একটা কথা বলি, এটুকু যা বলব ধর্মের ব্যাপারে আমার অনুভূতি ও নিজস্ব মন্তব্য এবং সাথে আরো কিছু কথা।
সেটা হলো ধর্ম এমন একটা বিষয় যেটা যুক্তি থেকে পবিত্র। যুক্তি দিয়ে বিচার করে করে ধর্মের নিয়ম মানা মানে ধার্মিক হওয়া নয় বরং কপটতা বা ভান্ডামী করা।
কারণ যুক্তি দাঁড়িয়ে থাকে তথ্যের ওপর আর তথ্য ধ্রুব কোন জিনিস নয়। তথ্য প্রতিনিয়ত নবীকরণ হচ্ছে।
তাই যুক্তি দিয়ে ধর্ম মানলে যুক্তি যখন ভেংগে পড়বে তখন আপনি ধর্ম থেকে দূরে নিক্ষিপ্ত হবেন যুক্তি দ্বারাই।
আচ্ছা আমি আসলে ধর্ম মানি কেন? কারণ যুক্তি দিয়ে আমি কূলকিনারা করতে পারিনি বলেই তো আমি অলৌকিকের আশ্রয় নিয়েছি, ধর্মের নিয়ে জমা হয়েছি।
তাই অলৌকিক কে অলৌকিক মানার পর যদি যুক্তি দিয়ে সেই অলৌকিকে বিচার করতে যান তবে আপনি সিরিয়াল ভন্ড (সিরিয়াল কিলারের মত)। একের পর এক ভন্ডামী আপনি করেই যাচ্ছেন।
তাই ধার্মিক হতে হলে আপনাকে ধর্মান্ধ হতেই হবে।
কারণ আপনার বিশ্বাস সংক্রান্ত যুক্তি উপস্থাপন পর্ব শেষ। এ ব্যাপারে আপনি আপিল অবশ্যই করতে পারবেন। তবে বর্তমান অবস্থানে দাঁড়িয়ে নয়, আপনাকে পূর্বের অবস্থায় ফিরে গিয়ে আপিল করতে হবে।
তবে, ধর্মের অভ্যন্তরীণ বিদ্যমান থাকা একই বিষয়েরএকাধিক আইন আপনি অবশ্যই যুক্তি দিয়ে একটি মেনে নিতে পারেন (অবশ্যই যুক্তি হতে হবে ঔ ধর্মের সূত্রাঅনুযায়ী। আপনার মন গড়া যুক্তি হতে পারবে না।)
তাই আপনার বিশ্বাস ও যুক্তির দন্দ্ব আপনার নিজস্ব চিন্তার ও দর্শনের ব্যাপার। এবং আপনার নিজস্ব দর্শন ধর্মের ওপর চাপানোর কোনো অধিকার নাই আপনার।
১লা বৈশাখ কি আসলেই হিন্দুদের উৎসব?
আপনি জানেন কি?
বাংলা বছরের প্রথম মাস "বৈশাখ" নয় "অগ্রহায়ণ"।
"অগ্র"- অর্থ "আগে", আর
"হায়ণ" - অর্থ "বছর"
তাই বাংলা নববর্ষ হলো ১লা অগহায়ন।
আপনি জানেন কি?
বাংলা বছরেরে প্রনয়ণ ও বিবর্তনে একমাত্র ও একছত্র অবদান রয়েছে মুসলমান দের?
বাংলা সাল প্রনয়ন করেন সম্রাট আকবর। এ কাজের দায়িত্ব সম্রাট দিয়েছিলেন জ্যোতির্বিজ্ঞানী আমির ফতুল্লাহ শিরাজী কে। বাংলা সাল প্রণয়ন করা হয়েছিল "আরবী" হিজরি বর্ষ অনুসারে।
আমরা বর্তমানে যে বাংলা বর্ষ পেয়েছি এটা মডিফাই করেছেন ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ।
বাংলা সাল প্রনয়নে হিন্দুদের অবদান নিছক দাবি মাত্র।
তাই বাংলা সাল শুধু মাত্র মুসলিমদের সম্পদ।
কিন্তু ১লা বৈশাখ কখনোই বাংলা নববর্ষ ছিলো না।
বাংলা সালে শুধুমাত্র ১লা বৈশাখ-ই সম্ভবত হিন্দু দের আবিষ্কার।
অনেকে বলে ও হিন্দু রাও দাবি করে যে, "১লা বৈশাখ নাকি তাদের ধর্মীয় উৎসব!"
এ প্রশ্নের উত্তর জানতে হলে আমাদের কে হিন্দু ধর্মের অবস্থা একটু দেখতে হবে।
কোন এক সাহিত্যিক বলেছিলেন (নাম মনে পড়ছে না), যে "নেহাতই রবীন্দ্রনাথ নিষেধ করে গেছেন, নইলে এত দিন হিন্দুরা রবীন্দ্রনাথের মূর্তি পূজা শুরু করে দিতো।"
আপনারা এই তথ্য নিশ্চই জানেন যে, এখন ভাররতের বিভিন্ন জায়গায় "অমিতাভ বচ্চন" কে "পূজা" করা হয়।
তাহলে এখন আপনারা নিশ্চই বুঝতে পারছেন যে হিন্দু দের "দেবতা" ও "উৎসব" কিভাবে সংযোজিত হয়।
তেমনি, ১লা বৈশাখ মোটেও তাদের আদি ধর্মীয় উৎসব নয় এটা তাদের সংযোজিত উৎসব।
কিন্তু এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই যে, হিন্দু রা খুব ভালো ভাবেই ১লা বৈশাখ কে নিজেদের করে নিয়েছে। "মঙ্গল শোভাযাত্রা" য় তাদের দেবতাদের মূর্তি সংযোজন করে।
তাই নিঃসন্দেহে ১লা বৈশাখ "হিন্দুদের উৎসব" - আদি ধর্মীয় উৎসব না হলেও "সংযোজিত ধর্মীয় উৎসব" তো বটেই।
তাই ঈমান রক্ষার্থে মুসলিম দের উচিত ১লা বৈশাখের প্রচলিত কর্মকান্ড থেকে দূরে অবস্থান করা।
বাংলা বছরের প্রথম মাস "বৈশাখ" নয় "অগ্রহায়ণ"।
"অগ্র"- অর্থ "আগে", আর
"হায়ণ" - অর্থ "বছর"
তাই বাংলা নববর্ষ হলো ১লা অগহায়ন।
আপনি জানেন কি?
বাংলা বছরেরে প্রনয়ণ ও বিবর্তনে একমাত্র ও একছত্র অবদান রয়েছে মুসলমান দের?
বাংলা সাল প্রনয়ন করেন সম্রাট আকবর। এ কাজের দায়িত্ব সম্রাট দিয়েছিলেন জ্যোতির্বিজ্ঞানী আমির ফতুল্লাহ শিরাজী কে। বাংলা সাল প্রণয়ন করা হয়েছিল "আরবী" হিজরি বর্ষ অনুসারে।
আমরা বর্তমানে যে বাংলা বর্ষ পেয়েছি এটা মডিফাই করেছেন ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ।
বাংলা সাল প্রনয়নে হিন্দুদের অবদান নিছক দাবি মাত্র।
তাই বাংলা সাল শুধু মাত্র মুসলিমদের সম্পদ।
কিন্তু ১লা বৈশাখ কখনোই বাংলা নববর্ষ ছিলো না।
বাংলা সালে শুধুমাত্র ১লা বৈশাখ-ই সম্ভবত হিন্দু দের আবিষ্কার।
অনেকে বলে ও হিন্দু রাও দাবি করে যে, "১লা বৈশাখ নাকি তাদের ধর্মীয় উৎসব!"
এ প্রশ্নের উত্তর জানতে হলে আমাদের কে হিন্দু ধর্মের অবস্থা একটু দেখতে হবে।
কোন এক সাহিত্যিক বলেছিলেন (নাম মনে পড়ছে না), যে "নেহাতই রবীন্দ্রনাথ নিষেধ করে গেছেন, নইলে এত দিন হিন্দুরা রবীন্দ্রনাথের মূর্তি পূজা শুরু করে দিতো।"
আপনারা এই তথ্য নিশ্চই জানেন যে, এখন ভাররতের বিভিন্ন জায়গায় "অমিতাভ বচ্চন" কে "পূজা" করা হয়।
তাহলে এখন আপনারা নিশ্চই বুঝতে পারছেন যে হিন্দু দের "দেবতা" ও "উৎসব" কিভাবে সংযোজিত হয়।
তেমনি, ১লা বৈশাখ মোটেও তাদের আদি ধর্মীয় উৎসব নয় এটা তাদের সংযোজিত উৎসব।
কিন্তু এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই যে, হিন্দু রা খুব ভালো ভাবেই ১লা বৈশাখ কে নিজেদের করে নিয়েছে। "মঙ্গল শোভাযাত্রা" য় তাদের দেবতাদের মূর্তি সংযোজন করে।
তাই নিঃসন্দেহে ১লা বৈশাখ "হিন্দুদের উৎসব" - আদি ধর্মীয় উৎসব না হলেও "সংযোজিত ধর্মীয় উৎসব" তো বটেই।
তাই ঈমান রক্ষার্থে মুসলিম দের উচিত ১লা বৈশাখের প্রচলিত কর্মকান্ড থেকে দূরে অবস্থান করা।
হুমায়ূন আহমেদের লেখার কিছু মজার বৈশিষ্ট!
প্রত্যেকের প্রত্যেক সৃষ্টিশীল কাজে স্রষ্টার স্বক্রীয়তার কিছু বৈশিষ্ট থাকে। হয়তো বিষয় গুলো স্রষ্টার অগোচরেই তার সৃষ্টির মধ্য প্রবেশ করে।
আমাদের পছন্দের একজন লেখক হুমায়ূন আহমেদের এরোকম কিছু স্বাক্ষর আমার চোখে পড়েছে। আজ সেগুলোর কয়েকটা নিয়ে এই পোষ্ট। আশা করি মজা পাবেন। হুমায়ূন ভক্তরা তো অবশ্যই মজা পাবেন।
হুমায়ূন ভক্তরা এই মজার বিষয় গুলো নিশ্চই লক্ষ্য করেছেন। আমার দৃষ্টি গোচর হওয়া ইন্টারেষ্টিং হুমায়ূন রচনার বৈশিষ্ট গুলো হলো:
১. উনার উপন্যাসে যদি কোথাও নজরুল সংগীতের কথা থাকে সেটি অবশ্যই হবে, "ওগো মদিনাবাসী প্রেমে ধরো হাত মম।" এই গান টি।
২. উপন্যাসে যদি ভূত-প্রেত, হ্যালোসিনেশনাল ক্যেরেক্টার থাকে তবে তার গায়ে কড়া গন্ধ থাকবে। (বেশী ভাগ ক্ষেত্রে "ওষধের গন্ধের মত গন্ধ" হয়)
৩. উপন্যাসে কেউ যদি আত্মহত্যা করার ইচ্ছা করে বা কারো যদি প্রচন্ড রাগে মরতে ইচ্ছা করে তবে অবশ্যই তার ইচ্ছা হবে "ট্রাকের" নিচে পড়ে মরার ইচ্ছা।
৪. যেসব লেখক সুপারন্যাচারাল, সাইকোলজি, গোয়েন্দা কাহিনী নিয়ে লেখেন তাদের প্রায় প্রত্যেকের লেখায় একটা শব্দের পুনঃ পুনঃ ব্যাবহার পাওয়া যায়। সেই শব্দটি হলো "ফ্যাকাসে" (সাধারণত মুখের বর্ণ বর্ণণা করতে শব্দ টি ব্যাবহার হয়)
কিন্তু মজার ব্যাপার হলো হুমায়ূন আহমেদের কোনো উপন্যাসে কোথাও "ফ্যাকাসে" শব্দটা পড়েছি বলে আমার মনে হয় না।
৫. শয়তান ফেরেস্তা নাকি জ্বিন এ ব্যাপারে হুমায়ূন আহমেদ সম্ভবত কনফিউজড। কারন তার অনেক গুলো উপন্যাসে বিভিন্ন ভাবে তিনি এই ব্যাপার উত্থাপন করেছেন। (না মোটেই আলোচনার জন্য বা মূল বিষয় হিসেবে ব্যাপার টা উল্লেখ করেন নি। ব্যাপার টা লিখেছেন শুধু মাত্র লাইনের এক্সটেনশন হিসেবে)
৬. আর তার উপন্যাসের কোনো নারী চরিত্র কখনো অসুন্দর চেহারার হয় না। মায়াকারা একটা ভাব থাকবেই।
৭. এবং তার প্রায় প্রত্যেক উপন্যাসেই ক্ষেপাটে, আউলা, ভ্যেগাবন্ড, বেকার টাইপের একটা চরিত্র থাকবেই। (হিমু হিমু ভাবের চরিত্র)
-ধন্যবাদ।
আমাদের পছন্দের একজন লেখক হুমায়ূন আহমেদের এরোকম কিছু স্বাক্ষর আমার চোখে পড়েছে। আজ সেগুলোর কয়েকটা নিয়ে এই পোষ্ট। আশা করি মজা পাবেন। হুমায়ূন ভক্তরা তো অবশ্যই মজা পাবেন।
হুমায়ূন ভক্তরা এই মজার বিষয় গুলো নিশ্চই লক্ষ্য করেছেন। আমার দৃষ্টি গোচর হওয়া ইন্টারেষ্টিং হুমায়ূন রচনার বৈশিষ্ট গুলো হলো:
১. উনার উপন্যাসে যদি কোথাও নজরুল সংগীতের কথা থাকে সেটি অবশ্যই হবে, "ওগো মদিনাবাসী প্রেমে ধরো হাত মম।" এই গান টি।
২. উপন্যাসে যদি ভূত-প্রেত, হ্যালোসিনেশনাল ক্যেরেক্টার থাকে তবে তার গায়ে কড়া গন্ধ থাকবে। (বেশী ভাগ ক্ষেত্রে "ওষধের গন্ধের মত গন্ধ" হয়)
৩. উপন্যাসে কেউ যদি আত্মহত্যা করার ইচ্ছা করে বা কারো যদি প্রচন্ড রাগে মরতে ইচ্ছা করে তবে অবশ্যই তার ইচ্ছা হবে "ট্রাকের" নিচে পড়ে মরার ইচ্ছা।
৪. যেসব লেখক সুপারন্যাচারাল, সাইকোলজি, গোয়েন্দা কাহিনী নিয়ে লেখেন তাদের প্রায় প্রত্যেকের লেখায় একটা শব্দের পুনঃ পুনঃ ব্যাবহার পাওয়া যায়। সেই শব্দটি হলো "ফ্যাকাসে" (সাধারণত মুখের বর্ণ বর্ণণা করতে শব্দ টি ব্যাবহার হয়)
কিন্তু মজার ব্যাপার হলো হুমায়ূন আহমেদের কোনো উপন্যাসে কোথাও "ফ্যাকাসে" শব্দটা পড়েছি বলে আমার মনে হয় না।
৫. শয়তান ফেরেস্তা নাকি জ্বিন এ ব্যাপারে হুমায়ূন আহমেদ সম্ভবত কনফিউজড। কারন তার অনেক গুলো উপন্যাসে বিভিন্ন ভাবে তিনি এই ব্যাপার উত্থাপন করেছেন। (না মোটেই আলোচনার জন্য বা মূল বিষয় হিসেবে ব্যাপার টা উল্লেখ করেন নি। ব্যাপার টা লিখেছেন শুধু মাত্র লাইনের এক্সটেনশন হিসেবে)
৬. আর তার উপন্যাসের কোনো নারী চরিত্র কখনো অসুন্দর চেহারার হয় না। মায়াকারা একটা ভাব থাকবেই।
৭. এবং তার প্রায় প্রত্যেক উপন্যাসেই ক্ষেপাটে, আউলা, ভ্যেগাবন্ড, বেকার টাইপের একটা চরিত্র থাকবেই। (হিমু হিমু ভাবের চরিত্র)
-ধন্যবাদ।
কিভাবে আপনার এন্ড্রোয়েড ফোনের স্ক্রিন রেকর্ড করবেন? (ভিডিও ব্লগ)।
এই ভিডিও টিউটোরিয়াল এ আমি দেখিয়েছি কিভাবে আপনি আপনার এন্ডোয়েড স্মার্টফোনের স্ক্রিন একটিভির ভিডিও রেকর্ড করবেন।
স্ক্রিন একটিভিটি রেকর্ড করতে মূলোত রুট পার্মিশন লাগে অথবা কিছু কিছু এপে পিসি লাগে।
কিন্তু এই পদ্ধতি তে আপনি ফোন রুট করা ছাড়াই এবং পিসি ছাড়াই আপনার ফোনের স্ক্রিন রেকর্ড করতে পারবেন।
যে এপ টি দিয়ে আপনাদের স্ক্রিন রেকর্ডিং শেখাবো সে এপ টির নাম Mobizen।
এভাবে আপনি ফোনের গেইম রেকর্ড, টিউটোরিয়াল বানানো সহ আরো অনেক কাজ করতে পারবেন।
তো বেশি বক বক না করি (থুক্কু না লিখি) আপনারা ভিডিও দেখুন।
ভিডিও টি embed করে দিলাম। তার পরো দেখতে সমস্যা হলে এইযে ইউটিউব লিংক,
https://youtube.com/watch?v=filYxofTQsg
টিউটোরিয়াল টি ডাউনলোড করেও দেখতে পারেন।
ভিডিও ডাউনলোড লিংক,
https://ssyoutube.com/watch?v=filYxofTQsg
এপ টির Play Store লিংক,
Samsung ফোনের জন্য,
https://play.google.com/store/apps/details?id=com.rsupport.mobizen.sec
অন্য সব এন্ড্রোয়েড ফোনের জন্য,
https://play.google.com/store/apps/details?id=com.rsupport.mvagent
স্ক্রিন একটিভিটি রেকর্ড করতে মূলোত রুট পার্মিশন লাগে অথবা কিছু কিছু এপে পিসি লাগে।
কিন্তু এই পদ্ধতি তে আপনি ফোন রুট করা ছাড়াই এবং পিসি ছাড়াই আপনার ফোনের স্ক্রিন রেকর্ড করতে পারবেন।
যে এপ টি দিয়ে আপনাদের স্ক্রিন রেকর্ডিং শেখাবো সে এপ টির নাম Mobizen।
এভাবে আপনি ফোনের গেইম রেকর্ড, টিউটোরিয়াল বানানো সহ আরো অনেক কাজ করতে পারবেন।
তো বেশি বক বক না করি (থুক্কু না লিখি) আপনারা ভিডিও দেখুন।
ভিডিও টি embed করে দিলাম। তার পরো দেখতে সমস্যা হলে এইযে ইউটিউব লিংক,
https://youtube.com/watch?v=filYxofTQsg
টিউটোরিয়াল টি ডাউনলোড করেও দেখতে পারেন।
ভিডিও ডাউনলোড লিংক,
https://ssyoutube.com/watch?v=filYxofTQsg
এপ টির Play Store লিংক,
Samsung ফোনের জন্য,
https://play.google.com/store/apps/details?id=com.rsupport.mobizen.sec
অন্য সব এন্ড্রোয়েড ফোনের জন্য,
https://play.google.com/store/apps/details?id=com.rsupport.mvagent
পৃথিবী কেনো সুর্যের চার পাশে ঘুরছে? সূর্যের মাহাকর্ষ টানে সূর্যের ভেতরে গিয়ে পড়ছে না কেনো?
পৃথিবী কেনো সুর্যের চার পাশে ঘুরছে? সূর্যের টানে সুর্যের ভেতরে গিয়ে পড়ে না কেনো?
সম্ভবত এই প্রশ্ন আমার মতো আপনার মাথাও ঝুলিয়ে (হ্যাং) দিতো। :p
উত্তর যদি হয় হ্যা। তবে আপনার সমাধান এখানে। :) ১০০% কার্যকর সমাধান। বিফলে মূল্য ফেরত! (আপনি তো কোনো মূল্যই দেন নাই, ফেরত দিমু কি :p )
আসেন শুরু করি,
এই সমস্যার সমাধানে আমারা সমস্যা টাকে দুই ভাগে ভাগ করে নিতে পারি।
১. পৃথিবী কিভাবে নিজের কক্ষ পথে গেলো? (না ইতিহাস কমু না)
২. সেখান থেকে সুর্যের মাহাকর্ষ টানে কেনো সে সুর্যের ওপর পড়ছে না? (আসল সমস্যা :( :x )
১ম সমস্যার সমাধান টা এখন বুঝলেও স্কুল জীবনে শুধু পড়েই এসেছি কিন্তু তখন বিষয় টা বুঝিনি। সম্ভবত বুঝিয়ে দেওয়ার মতো কেউ ছিলো না অথবা বাজে (বিজ্ঞানের) বই পড়ার অভ্যাস কখনো ছিলো না সেজন্য।
তো ব্যাপার টার ব্যাখ্যা নিউটন সাহেব ক্যানন বল (কামান বল) পরীক্ষা দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছেন।
(আবার নিউটন!! :( x( )
ব্যাখ্যা টা হলো, কোনো পাহাড়ের চূড়া থেকে যদি কোনো কামান ছোড়া হয় তবে সেটি পাহাড়ের পাদদেশে পাহাড় থেকে একটু দূরে এসে পড়বে। এখন কামান যত জোড়ে ছোড়া হবে, কামানের বল টি পাহাড়ের পাদদেশের মাটিতে তত দূরে পড়বে।
এখন কামানটাকে যদি প্রচন্ড জোড়ে মারা সম্ভব হয় তবে কি হবে? কামান টি সোজা যে বরাবর ছোড়া হবে সেই বরাবর পৃথিবী থেকে সোজা দূরে চলে যেতে চাইবে। কিন্তু পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষন বল কামানের গোলাটিকে নিজের দিকে টানবে, ফলে গোলাটি বৃত্তাকার পথে পৃথিবীকে পরিভ্রমন করতে থাকব।
একটা gif এনেমেশন দিলাম, ( দেখা যাবে)
তথ্য: বৃত্তাকার পথে ঘোরার জন্য কামানের গোলাটিকে যত জোড়ে নিক্ষেপ করা প্রয়োজন, তার চেয়ে বেশি জোড়ে নিক্ষেপ করলে সে উপবৃত্তাকার পথে ঘুরতে থাকবে। ফলে নিক্ষেপের বেগ যত বেশি হবে কক্ষ পথ তত বেশি উপবৃত্তাকার হবে।
--------------
এখন ২য় সমস্যা টা হলো এভাবে ঘুরতে ঘুরতে তো এক সময় কামানের গোলাটি অভিকর্ষের টানে মাটি পড়ার কথা। তাহলে পৃথিবী কেনো সুর্যের ওপর গিয়ে পড়ছে না?
আচ্ছা তাহলে ব্যাপার টি একটু তলিয়ে দেখা যাক।
পৃথিবী যদি সুর্যের ওপর গিয়ে পড়ে তবে সুর্যের দিকে পৃথিবীর সরণ হবে।
আমরা জানি, কোনো বস্তু কর্তৃক কোনো যদি কাজ হয় তবেই কোনো দিকে ঐ বস্তুর সরণ হবে।
সহজ কথায় বললে, সরণ হলে কাজ হয়; সরণ না হলে কাজ শুন্য।
তাহলে উলটো ভাবে বলতে পারি, কাজ শুন্য হলে সরণ শুন্য।
তার মানে বোঝা যাচ্ছে যে, কোনো এক বিশেষ কারণে সুর্যের মহাকর্ষ বল কর্তৃক পৃথিবীর ওপর কৃত কাজ শুন্য; যার ফলেই সুর্যের দিকে পৃথিবীর কোনো সরণ হচ্ছে না।
Get ready এবার আমরা আবিষ্কার(?) করবো কেনো সুর্যের মহাকর্ষ কর্তৃক পৃথিবীর ওপর কৃতকাজ শুন্য।
আমরা জানি যে পৃথিবী সুর্যকে বৃত্তাকার পথে পরিভ্রমন করছে। (প্রকৃত পক্ষে উপবৃত্তাকার; আমরা হিসাবের সুবিধার জন্য বৃত্তাকার ধরলাম)
তাহলে সুর্যের মহাকর্ষ যেহেতু সোজাসুজি (লম্ব ভাবে) পৃথিবীকে আকার্ষন করছে এবং পৃথিবী এর কক্ষপথের স্পর্শক বরাবর ছুটে চলে যেতে চাইছে। সেহেতু, পৃথিবীর ছুটে চলার অভমুখ ও সুর্যের মহাকর্ষ বলের মধ্য কোণের সাইজ হলো ৯০ ডিগ্রি।
আর আমরা জানি,
W = Fx cos Θ
যেখানে,
W হলো কৃত কাজের পরিমান;
F যে বলের দ্বারা কাজ হচ্ছে সেই বলের পরিমান (এখানে সূর্যের আকর্ষন বল);
X হচ্ছে যে বস্তুর ওপর কাজ হচ্ছে তার সরণের পরিমান;
এবং Θ হচ্ছে বল ও সরণের মধ্য কোনের পরিমান।
আমরা ওপরে দেখলাম যে সূর্যের আকর্ষন বল ও পৃথিবীর সরন (কক্ষ পথে সরণ) এর মধ্য কোনের পরিমান 90 ডিগ্রি।
তাহলে,
W = Fx cos Θ
এই সুত্রে Θ এর মান ৯০ ডিগ্রি বসাই তবে cos90 এর মান হলো শূন্য (০).
cos 90 এর মান শুন্য হলে W এর মান অর্থাৎ কাজের পরিমানও শুন্য হয়।
কারণ,
W = Fx * 0 [cos90 = 0 বসে]
W = 0
তাহলে, এখানে যেহেতু কাজের পরিমান শুন্য হচ্ছে সুতরাং সুর্যের আকর্ষন বল পৃথিবী কে তার কক্ষপথ থেকে এক চুল ও সরাতে পারছে না।
তাহলে ব্যাপার টা দঁাড়ায় যে, পৃথিবী সৃষ্টির সময় যে আদি বেগ নিয়ে সুর্যের চার দিকে ঘোরা শুরু করেছিলো ঠিক সেই পরিমান আদিবেগ এখনো সংরক্ষিত আছে।
এখন একটা প্রশ্ন দেখা দেয়, ওপরের সুত্র দেখাচ্ছে যে "F" এর মান অর্থাৎ সুর্যের বল যদি আরো কয়েক থেকে কয়েক হাজার গুন করা হয় তাহলেও "W" অর্থাৎ কাজ শুন্যই থেকে যাবে। এটা কি করে সম্ভব।
আচ্ছা, এখানেও একটি ইন্টারেষ্টিং ঘটনা আছে সেটা হলো, সুর্যের আকর্ষন বল যদি আরো বেশি হতো তবে পৃথিবী যখন প্রথম তার কক্ষে সচল হয় তখন এই সচল হওয়ার জন্য আরো বেশি আদিবেগ লাগতো। সেই আদি বেগ বর্তমান পর্যন্ত সংরক্ষিত থাকতো। ফলে ঘটনা যা আছে সেটাই ঘটতো।
আর সুর্যের আকর্ষন বল যদি বেশি হতো তবে যে আদি বেগে পৃথিবী সচল হয়েছিলো সেই আদি বেগে পৃথিবীকে লঞ্চ করলে পৃথিবী সুর্যের মধ্যে পড়ে যেত তখনই।
(তাহলে চিন্তা করে দেখেন কত হিসাবের ঘটনা)
আমি মুর্খ মানুষ তাই হয়তো আপনাদের সহজ ভাবে বোঝাতে পারিনি। জ্ঞানী কেউ পোষ্ট টা লিখলে আরো সহজে নিশ্চই বোঝাতে পারতো। তবে আমি জানি যে আপনারা ঠিকি বুঝেছেন কারণ আপনারা আমার চেয়ে বুদ্ধিমান তো বটেই।
[ছবি গুলো গুগোল থেকে নেওয়া। ছবির মালিক যিনি কপি রাইট তার। (কারন জানি না কোন ছবি কার :P) ]
সম্ভবত এই প্রশ্ন আমার মতো আপনার মাথাও ঝুলিয়ে (হ্যাং) দিতো। :p
উত্তর যদি হয় হ্যা। তবে আপনার সমাধান এখানে। :) ১০০% কার্যকর সমাধান। বিফলে মূল্য ফেরত! (আপনি তো কোনো মূল্যই দেন নাই, ফেরত দিমু কি :p )
আসেন শুরু করি,
এই সমস্যার সমাধানে আমারা সমস্যা টাকে দুই ভাগে ভাগ করে নিতে পারি।
১. পৃথিবী কিভাবে নিজের কক্ষ পথে গেলো? (না ইতিহাস কমু না)
২. সেখান থেকে সুর্যের মাহাকর্ষ টানে কেনো সে সুর্যের ওপর পড়ছে না? (আসল সমস্যা :( :x )
১ম সমস্যার সমাধান টা এখন বুঝলেও স্কুল জীবনে শুধু পড়েই এসেছি কিন্তু তখন বিষয় টা বুঝিনি। সম্ভবত বুঝিয়ে দেওয়ার মতো কেউ ছিলো না অথবা বাজে (বিজ্ঞানের) বই পড়ার অভ্যাস কখনো ছিলো না সেজন্য।
তো ব্যাপার টার ব্যাখ্যা নিউটন সাহেব ক্যানন বল (কামান বল) পরীক্ষা দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছেন।
(আবার নিউটন!! :( x( )
ব্যাখ্যা টা হলো, কোনো পাহাড়ের চূড়া থেকে যদি কোনো কামান ছোড়া হয় তবে সেটি পাহাড়ের পাদদেশে পাহাড় থেকে একটু দূরে এসে পড়বে। এখন কামান যত জোড়ে ছোড়া হবে, কামানের বল টি পাহাড়ের পাদদেশের মাটিতে তত দূরে পড়বে।
এখন কামানটাকে যদি প্রচন্ড জোড়ে মারা সম্ভব হয় তবে কি হবে? কামান টি সোজা যে বরাবর ছোড়া হবে সেই বরাবর পৃথিবী থেকে সোজা দূরে চলে যেতে চাইবে। কিন্তু পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষন বল কামানের গোলাটিকে নিজের দিকে টানবে, ফলে গোলাটি বৃত্তাকার পথে পৃথিবীকে পরিভ্রমন করতে থাকব।
একটা gif এনেমেশন দিলাম, ( দেখা যাবে)
তথ্য: বৃত্তাকার পথে ঘোরার জন্য কামানের গোলাটিকে যত জোড়ে নিক্ষেপ করা প্রয়োজন, তার চেয়ে বেশি জোড়ে নিক্ষেপ করলে সে উপবৃত্তাকার পথে ঘুরতে থাকবে। ফলে নিক্ষেপের বেগ যত বেশি হবে কক্ষ পথ তত বেশি উপবৃত্তাকার হবে।
--------------
এখন ২য় সমস্যা টা হলো এভাবে ঘুরতে ঘুরতে তো এক সময় কামানের গোলাটি অভিকর্ষের টানে মাটি পড়ার কথা। তাহলে পৃথিবী কেনো সুর্যের ওপর গিয়ে পড়ছে না?
আচ্ছা তাহলে ব্যাপার টি একটু তলিয়ে দেখা যাক।
পৃথিবী যদি সুর্যের ওপর গিয়ে পড়ে তবে সুর্যের দিকে পৃথিবীর সরণ হবে।
আমরা জানি, কোনো বস্তু কর্তৃক কোনো যদি কাজ হয় তবেই কোনো দিকে ঐ বস্তুর সরণ হবে।
সহজ কথায় বললে, সরণ হলে কাজ হয়; সরণ না হলে কাজ শুন্য।
তাহলে উলটো ভাবে বলতে পারি, কাজ শুন্য হলে সরণ শুন্য।
তার মানে বোঝা যাচ্ছে যে, কোনো এক বিশেষ কারণে সুর্যের মহাকর্ষ বল কর্তৃক পৃথিবীর ওপর কৃত কাজ শুন্য; যার ফলেই সুর্যের দিকে পৃথিবীর কোনো সরণ হচ্ছে না।
Get ready এবার আমরা আবিষ্কার(?) করবো কেনো সুর্যের মহাকর্ষ কর্তৃক পৃথিবীর ওপর কৃতকাজ শুন্য।
আমরা জানি যে পৃথিবী সুর্যকে বৃত্তাকার পথে পরিভ্রমন করছে। (প্রকৃত পক্ষে উপবৃত্তাকার; আমরা হিসাবের সুবিধার জন্য বৃত্তাকার ধরলাম)
তাহলে সুর্যের মহাকর্ষ যেহেতু সোজাসুজি (লম্ব ভাবে) পৃথিবীকে আকার্ষন করছে এবং পৃথিবী এর কক্ষপথের স্পর্শক বরাবর ছুটে চলে যেতে চাইছে। সেহেতু, পৃথিবীর ছুটে চলার অভমুখ ও সুর্যের মহাকর্ষ বলের মধ্য কোণের সাইজ হলো ৯০ ডিগ্রি।
আর আমরা জানি,
W = Fx cos Θ
যেখানে,
W হলো কৃত কাজের পরিমান;
F যে বলের দ্বারা কাজ হচ্ছে সেই বলের পরিমান (এখানে সূর্যের আকর্ষন বল);
X হচ্ছে যে বস্তুর ওপর কাজ হচ্ছে তার সরণের পরিমান;
এবং Θ হচ্ছে বল ও সরণের মধ্য কোনের পরিমান।
আমরা ওপরে দেখলাম যে সূর্যের আকর্ষন বল ও পৃথিবীর সরন (কক্ষ পথে সরণ) এর মধ্য কোনের পরিমান 90 ডিগ্রি।
তাহলে,
W = Fx cos Θ
এই সুত্রে Θ এর মান ৯০ ডিগ্রি বসাই তবে cos90 এর মান হলো শূন্য (০).
cos 90 এর মান শুন্য হলে W এর মান অর্থাৎ কাজের পরিমানও শুন্য হয়।
কারণ,
W = Fx * 0 [cos90 = 0 বসে]
W = 0
তাহলে, এখানে যেহেতু কাজের পরিমান শুন্য হচ্ছে সুতরাং সুর্যের আকর্ষন বল পৃথিবী কে তার কক্ষপথ থেকে এক চুল ও সরাতে পারছে না।
তাহলে ব্যাপার টা দঁাড়ায় যে, পৃথিবী সৃষ্টির সময় যে আদি বেগ নিয়ে সুর্যের চার দিকে ঘোরা শুরু করেছিলো ঠিক সেই পরিমান আদিবেগ এখনো সংরক্ষিত আছে।
এখন একটা প্রশ্ন দেখা দেয়, ওপরের সুত্র দেখাচ্ছে যে "F" এর মান অর্থাৎ সুর্যের বল যদি আরো কয়েক থেকে কয়েক হাজার গুন করা হয় তাহলেও "W" অর্থাৎ কাজ শুন্যই থেকে যাবে। এটা কি করে সম্ভব।
আচ্ছা, এখানেও একটি ইন্টারেষ্টিং ঘটনা আছে সেটা হলো, সুর্যের আকর্ষন বল যদি আরো বেশি হতো তবে পৃথিবী যখন প্রথম তার কক্ষে সচল হয় তখন এই সচল হওয়ার জন্য আরো বেশি আদিবেগ লাগতো। সেই আদি বেগ বর্তমান পর্যন্ত সংরক্ষিত থাকতো। ফলে ঘটনা যা আছে সেটাই ঘটতো।
আর সুর্যের আকর্ষন বল যদি বেশি হতো তবে যে আদি বেগে পৃথিবী সচল হয়েছিলো সেই আদি বেগে পৃথিবীকে লঞ্চ করলে পৃথিবী সুর্যের মধ্যে পড়ে যেত তখনই।
(তাহলে চিন্তা করে দেখেন কত হিসাবের ঘটনা)
আমি মুর্খ মানুষ তাই হয়তো আপনাদের সহজ ভাবে বোঝাতে পারিনি। জ্ঞানী কেউ পোষ্ট টা লিখলে আরো সহজে নিশ্চই বোঝাতে পারতো। তবে আমি জানি যে আপনারা ঠিকি বুঝেছেন কারণ আপনারা আমার চেয়ে বুদ্ধিমান তো বটেই।
[ছবি গুলো গুগোল থেকে নেওয়া। ছবির মালিক যিনি কপি রাইট তার। (কারন জানি না কোন ছবি কার :P) ]
আপনার ওয়েব সাইটে কুরআনের বাংলা আয়াত দেখান।
এটা কি?
এই স্ক্রিপট টি আপনার সাইটে প্রতি ভিজিটে প্রত্যেক ভিজিটর কে র্যান্ডম ভাবে একটি করে কুরআনের বাংলা আয়াত প্রদর্শন করবে। প্রতি ভিজিটে অথবা পেজ রিলোডে এটি আটোমেটিক ভিন্ন ভিন্ন আয়াত প্রদর্শন করবে।
কিভাবে যুক্ত করবেন?
খুব সহজ… আপনার সাইটের যেখানে আপনি একটি করে কুরআনের আয়াত দেখাতে চান সেখানে নিচের ১ লাইনের কোড টুকু কপি করে পেষ্ট করে দিন। এটি html কোড অথবা javascript হিসেবে যোগ করুন। এখানে বেসিক কোড টুকু দেওয়া আছে।এই প্লাগিন টিতে আমাদের সাইটের কোনো এড বা অন্য কিছু নাই। ফলে আপনার সাইটের ভিজিটর রা বুঝতেই পারবেনা যে আপনি অন্য কোনো সাইটের রিসোর্স ব্যাবহার করছেন।
এছাড়া css দিয়ে একে আরো সুন্দর করে তুলতে পারেন। এটি ওয়ার্ডপ্রেস, ব্লগার, html সাইট সহ সব ধরনের সাইটে ব্যাবহার করা যাবে।
আপনার ওয়েব সাইটের জন্য চমৎকার একটি মেনু। CSS3 টিউটোরিয়াল।
আসসালামু‘আলাইকুম কেমন আছেন সবাই? আজ আমি আপনাদের কে দেখাবো কিভাবে css3 দিয়ে চমতকার একটি মেনু তৈরি করা যায়। তবে চলুন শুরু করি।
নিচের কোড টুকু কপি করে .html এক্সটেনসন দিয়ে টেক্সট ফাইলে সেভ করুন।
মেনু টি দেখতে এরোকম হবে
আমি আলাদা কোনো ষ্টাইলসিট ফাইল ব্যাবহার করছিনা। একটা ফাইলের মধ্যেই css ও html কোড লিখছি।
Live Demo
এখানে CSS3 এর
এই মেনুটি ব্যাবহার করা হয়েছে alquranbd.com সাইটিতে
আল্লাহ হাফেজ। আবার দেখা হবে ইনশাআল্লাহ।
সময় থাকলে আমাদের অনলাইন প্রোজেক্ট টিতে একবার ঘুড়ে আসবেন আশাকরি ভালো লাগবে।
www.alquranbd.com
নিচের কোড টুকু কপি করে .html এক্সটেনসন দিয়ে টেক্সট ফাইলে সেভ করুন।
মেনু টি দেখতে এরোকম হবে
আমি আলাদা কোনো ষ্টাইলসিট ফাইল ব্যাবহার করছিনা। একটা ফাইলের মধ্যেই css ও html কোড লিখছি।
লাইভ ডেমো দেখুন এখানে। সাইডবার টি তে এই মেনু ব্যাবহার করা হয়েছে।Simple CSS3 Menu
Live Demo
এখানে CSS3 এর
-webkit-transition:all 0.2s linear; -moz-transition:all 0.2s linear; -o-transition:all 0.2s linear; transition:all 0.2s linear;কোড ব্যাবহার করা হয়েছে। এটি একটি অনেক কাজের জিনিস এটি JQuery ছাড়াই ট্রান্সলেশন ইফেক্ট দেয়।
এই মেনুটি ব্যাবহার করা হয়েছে alquranbd.com সাইটিতে
আল্লাহ হাফেজ। আবার দেখা হবে ইনশাআল্লাহ।
সময় থাকলে আমাদের অনলাইন প্রোজেক্ট টিতে একবার ঘুড়ে আসবেন আশাকরি ভালো লাগবে।
www.alquranbd.com
Posted by Niamul Hasan
বিষয় ভিত্তিক কুরআন। বিভিন্ন বিষয়ের ওপর বিভক্ত কুরআনের আয়াত
তারাবির নামাজ কত রাকাত? (বিভ্রান্তির জবাব)
বিষয় টা নিয়ে আলোচনা করতে চেয়েছিলাম না। যাই হোক আমার ছোট্ট মস্তিষ্কের
অসুম্পুন্ন জ্ঞানে আলোচনা করতেই হলো, স্বঘোষিত একদল আহলে হাদিসের
অনুসারীদের লাফালাফি করার কারনে এই লেখা টি লিখতে বসলাম।
প্রথমে সেই দলিল টি দেখে নিই যে টিকে তারা ৮ রাকাত তারাবি নামাজের দিলিল হিসেবে উত্থহাপন করেঃ
হযরত আবু সালমা বিন আব্দুর রহমান থেকে বর্নিত তিনি আয়েশা (রাঃ) কাছে জানতে চান, নবীজী (সাঃ) এর নামাজ কেমন হতো রমাজান মাসে? তিনি (আয়েশা রাঃ) বলেন, রাসূল (সাঃ) রমজান ও রমজান ছাড়া ১১ রাকাত থেকে বাড়াতেন না। তিনি চার রাকাত পড়তেন তুমি এর সৌন্দর্য ও দীর্ঘতা সম্পর্কে জানতে চেওনা, তারপর পড়তেন চার রাকাত পড়তেন। তুমি এর সৌন্দর্য ও দীর্ঘতা সম্পর্কে জানতে চেওনা, তারপর পড়তেন তিন রাকাত। তখন আমি বললাম হে আল্লাহর রাসূল আপনি কি বিতর পড়ার পূর্বে শুয়ে (ঘুমিয়ে) যান? তিনি বললেন, (রাসূল সাঃ) “হে আয়েশা নিশ্চই আমার দুচোখ ঘুমাই, আমার কলব ঘুমায় না”। (সহহী বুখারীঃ বিতর অধ্যায়। হাদিস নং ১৩৫)
স্বঘোষিত আহলে হাদিস অনুসারী রা বলেন যে এই হাদিসের ভিতিতে তারাবি নামাজ ৮ রাকাত। বিভিন্ন হাদিস গ্রন্থে ২০ রাকাত তারাবির পক্ষে প্রচুর দলিল থকলেও তারা এ ব্যাপারে অন্ধ।
এবার আমরা বিচার করে দেখি যে আসল ঘটনা টা কিঃ
হাদিস টির বিশ্লেষনঃ
===============
====
১। হাদিস টা কি আসলে তারাবি নামাজ সম্পর্কে বলছে
--------------- --------------- ----
• এই হাদিস টা যদি তারাবি নামাজ সম্পর্কে হতো তবে এটিকে ইমাম বুখারী (রহঃ) বিতর অধ্যায়ের মধ্য সনযুক্ত করলেন কেনো? তারাবির অধ্যায়ে নয় কেনো? যারা এই হাদিস কে তারাবির দলিল বলে তারা ইমাম বুখারীর (রহঃ) এর চেয়েও বেশি বোঝে।
=============== =====
২। তাহলে হাদিস টি কোন নামাজের কথা বলছে?
--------------- --------------- -----
• কতিপয় আহলে হাদিসের আলেম ছাড়া সবাই একমত যে এই হাদিস টা তাহাজ্জুত নামাজ সম্পর্কে বলছে।
=============== =====
৩। তাহলে হাদিটিতে “রমজান” শব্দ উল্লেখ করা হলো কেনো?
--------------- --------------- -----
• রমজান শব্দ এই জন্য উল্লেখ করা হয়েছে যে, সম্ভবত আয়িশা (রাঃ) কে সম্ভবত জিজ্ঞাসা করা হয়েছিলো যে রাসূল (সাঃ) রমজানে তাহাজ্জুত নামাজ বাড়াতেন কি না। কারন অনেক হাদিস থেকে প্রমনিত যে রাসূল (সাঃ) রমজান মাসে সব এবাদতের পরিমানই বাড়িয়ে দিতেন। তাই আয়িশা (রাঃ) বলেছেন, “রাসূল (সাঃ) রমজান ও রমজান ছাড়া ১১ রাকাত থেকে বাড়াতেন না।”
----------
• আমি যেহেতু “সম্ভবত” কথাটা বললাম যেহেতু অনেকে ধরে নেবেন যে এই ৩ নং পয়েন্ট টি ভুল। যদি আমার ৩ নং পয়েন্ট টি ভুল মানেন, তবে আপনাকে শুধু রমজান মাসে নয় সারা বছর তারাবির নামাজ আদায় করতে হবে। কারন, উম্মুল মুমিনিন আয়িশা (রাঃ) হাদিস টিতে বলেছেন, “রমজান ও রমজান ছাড়া”।
=============== ====
৩। যদি এটা তারাবির নামাজ হয় তবে, “চার রাকাত, চার রাকাত” করে পড়ার কথা বলা হয়েছে কেনো?
--------------- ---------------
• এই হাদিস কে যারা তারাবির দলিল হিসেবে মানেন, তাদের কে বলবো আপনারা যদি আহলে হাদিসই (হাদিস এর অনুসারী) হন তবে, ২ রাকাত ২ রাকাত করে তারাবি পড়েন কেনো? হাদিস অনুসারে চার রাকাত, চার রাকাত করে পরবেন। কারন হাদিস টিতে বলা হয়েছে, “তিনি চার রাকাত পড়তেন তুমি এর সৌন্দর্য ও দীর্ঘতা সম্পর্কে জানতে চেওনা, তারপর পড়তেন চার রাকাত পড়তেন। তুমি এর সৌন্দর্য ও দীর্ঘতা সম্পর্কে জানতে চেওনা, তারপর পড়তেন তিন রাকাত।”
--------------- ---------------
--------------- --------------- ----
এবার ২০ রাকাত তারাবির নামাজের পর্যালোচনাঃ
--------------- --------------- ---
২০ রাকাত তারাবির নামাজ জামাতে আদায় করার নিয়ম প্রতিষ্ঠা করেছেন, হযরত ওমর ফারুক (রাঃ)।
এই নিয়ম টি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিলো “কিয়াস” এর ভিত্তিতে। কিয়াস হলো “একমত বা সহ মত পোষন করা”
কিয়াসের বিভিন্ন স্তর আছে, এই স্তর গুলোর ওপর ভিত্তিকরে কিয়াস এর গ্রহন যোগ্যতা নিধাররন করা হয়, এর আলোচনা ব্যাপক। আমি সংক্ষেপে বলছি,
1. প্রথমত কিয়াস নিধারন করা হয় জামানার ভিত্তিতে, সবচেয়ে শক্তিশালী কিয়াস সাহাবা-কিরামের কিয়াস, তারপর তাবেঈ দের, তারপর তাবে-তাবেঈন দের। এভাবে সময়ের ভিত্তিতে ক্রমান্বয়ে চলতে থাকবে।
2. দ্বিতীয়ত কিয়াস নির্ধারিত হয় সহমতের সংখ্যার ভিত্তিতে। এই হিসাব টি করা হয় সহমতের শতকরা সংখ্যার ভিত্তিতে। শতকরা যতবেশি লোক সহমত হবে, সেই কিয়াস তত বেশি শক্তিশালী হবে।
তাহলে ২০ রাকাত তারাবির কিয়াস টি সবচেয়ে শক্তিশালী কিয়াস। কারণ তা সাহাবী (রাঃ) রা করেছেন। এবং সকল সাহাবী (রাঃ) এই বিষয়ে একমত ছিলেন। এই কিয়াস যারা মানবে না, তারা কিয়াস ই অস্বীকার করে। কারন এর চেয়ে শক্তিশালী কোনো কিয়াস থাকতে পারে না।
৪। স্বঘোষিত আহলে হাদিসের কিছু লোক কিয়াস মানেনা। তাহলে?
• কিয়াস না মানা স্পষ্ট গোমরাহী। কারণ রাসূল (সাঃ) বলেছেন, “আমার উম্মত কখনো কোনো ভ্রান্ত বিষয়ে একমত হবে না।”
• তারপরও যারা কিয়াস মানে না তারাও ২০ রাকাত তারাবি অস্বীকার করতে পারবে না কারন, রাসূল (সাঃ) বলেছেন, “তোমরা আমার ও খুলাফায়ে রাশেদীনের সুন্নত কে আকরে ধরো” (আবু দাউদ, তিরমিজি)। আর ২০ রাকাত তারাবি হলো আমির ঊল মু’মিনিন হযরত ওমর (রাঃ) সহ সকাল সাহাবী দের সুন্নত।
এতো কিছুর পরও যারা বলবে তারাবি, নামাজ ২০ রাকাত পড়া যাবে না। তারা হযরত ওমর (রাঃ) সহ সকল সাহবীদের চেয়েও বেশি হেদায়েত প্রাপ্ত।
বিঃদ্রঃ এই তথাকথিত আহলে হাদিস দের সৃষ্টি করেছে বৃটিষ শাসক রা। তারা ভারত উপমহাদেশ ছেড়েছে। কিন্তু স্বঘোষিত আহলে হাদিস নামাক এক ভাইরাস ইসলামের মধ্য রেখে গেছে, যাদের মুল কাজ হলো ইসলামের ছোটো ছোটো বিষয় নিয়ে ফেতনা সৃষ্টি করা। এদের বংশধর রা নিজেদের অজান্তেই এই কাজ করে যাচ্ছে। এদের আকিদায় এতো বেশি সমস্যা নাই, তাই এদের এদের এখনো খারেজি বলে ঘোষনা করা যায় না। তাই এরা ইসলামের মধ্য বিষ কাটার মতো বিধে থেকে ফেতনা সৃষ্টি করে যাচ্ছে।
আমি আলোচনার কোনো ফাক রাখতে চাই না। তাই ২০ রাকাত তারাবির বিষয় টা আরো ক্লিয়ার করিঃ
ইমাম বুখারীর (রহঃ) হাদিস টা দ্বারা তারাবি নির্দেশ করেন নাই। এতো কিছুর পরও যারা বলবে যে উক্ত হাদিস টি তারাবির। তারা ইমাম বুখারী (রহঃ) কে হযরত ওমর ফারুক (রাঃ) এর ওপরে স্থান দিয়েছেন। এদের কাছে ইমাম বুখারীর (রহঃ) ওমর ফারুক (রাঃ) এর চেয়ে বড়। অথচ ইমাম বুখারীর (রহঃ) এর মর্যাদা হযরত ওমরের পায়ের ধুলোর সমান ও নয়।
এদের কাছে প্রশ্নঃ হযরত ওমরের (রাঃ) কি হাদিস কম পড়েছিলো যে তিনি খাম খেয়ালের বসে ২০ রাকাত তারাবি নির্ধারন করলেন?
=============== =====
কথা একটাই যারা ২০ রাকাত তারাবির বিরোধীতা করে তারা, “”তারা হযরত ওমর (রাঃ) এর চেয়েও বেশি হেদায়েত প্রাপ্ত।
-অপঠিত দৈনিকী
প্রথমে সেই দলিল টি দেখে নিই যে টিকে তারা ৮ রাকাত তারাবি নামাজের দিলিল হিসেবে উত্থহাপন করেঃ
হযরত আবু সালমা বিন আব্দুর রহমান থেকে বর্নিত তিনি আয়েশা (রাঃ) কাছে জানতে চান, নবীজী (সাঃ) এর নামাজ কেমন হতো রমাজান মাসে? তিনি (আয়েশা রাঃ) বলেন, রাসূল (সাঃ) রমজান ও রমজান ছাড়া ১১ রাকাত থেকে বাড়াতেন না। তিনি চার রাকাত পড়তেন তুমি এর সৌন্দর্য ও দীর্ঘতা সম্পর্কে জানতে চেওনা, তারপর পড়তেন চার রাকাত পড়তেন। তুমি এর সৌন্দর্য ও দীর্ঘতা সম্পর্কে জানতে চেওনা, তারপর পড়তেন তিন রাকাত। তখন আমি বললাম হে আল্লাহর রাসূল আপনি কি বিতর পড়ার পূর্বে শুয়ে (ঘুমিয়ে) যান? তিনি বললেন, (রাসূল সাঃ) “হে আয়েশা নিশ্চই আমার দুচোখ ঘুমাই, আমার কলব ঘুমায় না”। (সহহী বুখারীঃ বিতর অধ্যায়। হাদিস নং ১৩৫)
স্বঘোষিত আহলে হাদিস অনুসারী রা বলেন যে এই হাদিসের ভিতিতে তারাবি নামাজ ৮ রাকাত। বিভিন্ন হাদিস গ্রন্থে ২০ রাকাত তারাবির পক্ষে প্রচুর দলিল থকলেও তারা এ ব্যাপারে অন্ধ।
এবার আমরা বিচার করে দেখি যে আসল ঘটনা টা কিঃ
হাদিস টির বিশ্লেষনঃ
===============
১। হাদিস টা কি আসলে তারাবি নামাজ সম্পর্কে বলছে
---------------
• এই হাদিস টা যদি তারাবি নামাজ সম্পর্কে হতো তবে এটিকে ইমাম বুখারী (রহঃ) বিতর অধ্যায়ের মধ্য সনযুক্ত করলেন কেনো? তারাবির অধ্যায়ে নয় কেনো? যারা এই হাদিস কে তারাবির দলিল বলে তারা ইমাম বুখারীর (রহঃ) এর চেয়েও বেশি বোঝে।
===============
২। তাহলে হাদিস টি কোন নামাজের কথা বলছে?
---------------
• কতিপয় আহলে হাদিসের আলেম ছাড়া সবাই একমত যে এই হাদিস টা তাহাজ্জুত নামাজ সম্পর্কে বলছে।
===============
৩। তাহলে হাদিটিতে “রমজান” শব্দ উল্লেখ করা হলো কেনো?
---------------
• রমজান শব্দ এই জন্য উল্লেখ করা হয়েছে যে, সম্ভবত আয়িশা (রাঃ) কে সম্ভবত জিজ্ঞাসা করা হয়েছিলো যে রাসূল (সাঃ) রমজানে তাহাজ্জুত নামাজ বাড়াতেন কি না। কারন অনেক হাদিস থেকে প্রমনিত যে রাসূল (সাঃ) রমজান মাসে সব এবাদতের পরিমানই বাড়িয়ে দিতেন। তাই আয়িশা (রাঃ) বলেছেন, “রাসূল (সাঃ) রমজান ও রমজান ছাড়া ১১ রাকাত থেকে বাড়াতেন না।”
----------
• আমি যেহেতু “সম্ভবত” কথাটা বললাম যেহেতু অনেকে ধরে নেবেন যে এই ৩ নং পয়েন্ট টি ভুল। যদি আমার ৩ নং পয়েন্ট টি ভুল মানেন, তবে আপনাকে শুধু রমজান মাসে নয় সারা বছর তারাবির নামাজ আদায় করতে হবে। কারন, উম্মুল মুমিনিন আয়িশা (রাঃ) হাদিস টিতে বলেছেন, “রমজান ও রমজান ছাড়া”।
===============
৩। যদি এটা তারাবির নামাজ হয় তবে, “চার রাকাত, চার রাকাত” করে পড়ার কথা বলা হয়েছে কেনো?
---------------
• এই হাদিস কে যারা তারাবির দলিল হিসেবে মানেন, তাদের কে বলবো আপনারা যদি আহলে হাদিসই (হাদিস এর অনুসারী) হন তবে, ২ রাকাত ২ রাকাত করে তারাবি পড়েন কেনো? হাদিস অনুসারে চার রাকাত, চার রাকাত করে পরবেন। কারন হাদিস টিতে বলা হয়েছে, “তিনি চার রাকাত পড়তেন তুমি এর সৌন্দর্য ও দীর্ঘতা সম্পর্কে জানতে চেওনা, তারপর পড়তেন চার রাকাত পড়তেন। তুমি এর সৌন্দর্য ও দীর্ঘতা সম্পর্কে জানতে চেওনা, তারপর পড়তেন তিন রাকাত।”
---------------
---------------
এবার ২০ রাকাত তারাবির নামাজের পর্যালোচনাঃ
---------------
২০ রাকাত তারাবির নামাজ জামাতে আদায় করার নিয়ম প্রতিষ্ঠা করেছেন, হযরত ওমর ফারুক (রাঃ)।
এই নিয়ম টি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিলো “কিয়াস” এর ভিত্তিতে। কিয়াস হলো “একমত বা সহ মত পোষন করা”
কিয়াসের বিভিন্ন স্তর আছে, এই স্তর গুলোর ওপর ভিত্তিকরে কিয়াস এর গ্রহন যোগ্যতা নিধাররন করা হয়, এর আলোচনা ব্যাপক। আমি সংক্ষেপে বলছি,
1. প্রথমত কিয়াস নিধারন করা হয় জামানার ভিত্তিতে, সবচেয়ে শক্তিশালী কিয়াস সাহাবা-কিরামের কিয়াস, তারপর তাবেঈ দের, তারপর তাবে-তাবেঈন দের। এভাবে সময়ের ভিত্তিতে ক্রমান্বয়ে চলতে থাকবে।
2. দ্বিতীয়ত কিয়াস নির্ধারিত হয় সহমতের সংখ্যার ভিত্তিতে। এই হিসাব টি করা হয় সহমতের শতকরা সংখ্যার ভিত্তিতে। শতকরা যতবেশি লোক সহমত হবে, সেই কিয়াস তত বেশি শক্তিশালী হবে।
তাহলে ২০ রাকাত তারাবির কিয়াস টি সবচেয়ে শক্তিশালী কিয়াস। কারণ তা সাহাবী (রাঃ) রা করেছেন। এবং সকল সাহাবী (রাঃ) এই বিষয়ে একমত ছিলেন। এই কিয়াস যারা মানবে না, তারা কিয়াস ই অস্বীকার করে। কারন এর চেয়ে শক্তিশালী কোনো কিয়াস থাকতে পারে না।
৪। স্বঘোষিত আহলে হাদিসের কিছু লোক কিয়াস মানেনা। তাহলে?
• কিয়াস না মানা স্পষ্ট গোমরাহী। কারণ রাসূল (সাঃ) বলেছেন, “আমার উম্মত কখনো কোনো ভ্রান্ত বিষয়ে একমত হবে না।”
• তারপরও যারা কিয়াস মানে না তারাও ২০ রাকাত তারাবি অস্বীকার করতে পারবে না কারন, রাসূল (সাঃ) বলেছেন, “তোমরা আমার ও খুলাফায়ে রাশেদীনের সুন্নত কে আকরে ধরো” (আবু দাউদ, তিরমিজি)। আর ২০ রাকাত তারাবি হলো আমির ঊল মু’মিনিন হযরত ওমর (রাঃ) সহ সকাল সাহাবী দের সুন্নত।
এতো কিছুর পরও যারা বলবে তারাবি, নামাজ ২০ রাকাত পড়া যাবে না। তারা হযরত ওমর (রাঃ) সহ সকল সাহবীদের চেয়েও বেশি হেদায়েত প্রাপ্ত।
বিঃদ্রঃ এই তথাকথিত আহলে হাদিস দের সৃষ্টি করেছে বৃটিষ শাসক রা। তারা ভারত উপমহাদেশ ছেড়েছে। কিন্তু স্বঘোষিত আহলে হাদিস নামাক এক ভাইরাস ইসলামের মধ্য রেখে গেছে, যাদের মুল কাজ হলো ইসলামের ছোটো ছোটো বিষয় নিয়ে ফেতনা সৃষ্টি করা। এদের বংশধর রা নিজেদের অজান্তেই এই কাজ করে যাচ্ছে। এদের আকিদায় এতো বেশি সমস্যা নাই, তাই এদের এদের এখনো খারেজি বলে ঘোষনা করা যায় না। তাই এরা ইসলামের মধ্য বিষ কাটার মতো বিধে থেকে ফেতনা সৃষ্টি করে যাচ্ছে।
আমি আলোচনার কোনো ফাক রাখতে চাই না। তাই ২০ রাকাত তারাবির বিষয় টা আরো ক্লিয়ার করিঃ
ইমাম বুখারীর (রহঃ) হাদিস টা দ্বারা তারাবি নির্দেশ করেন নাই। এতো কিছুর পরও যারা বলবে যে উক্ত হাদিস টি তারাবির। তারা ইমাম বুখারী (রহঃ) কে হযরত ওমর ফারুক (রাঃ) এর ওপরে স্থান দিয়েছেন। এদের কাছে ইমাম বুখারীর (রহঃ) ওমর ফারুক (রাঃ) এর চেয়ে বড়। অথচ ইমাম বুখারীর (রহঃ) এর মর্যাদা হযরত ওমরের পায়ের ধুলোর সমান ও নয়।
এদের কাছে প্রশ্নঃ হযরত ওমরের (রাঃ) কি হাদিস কম পড়েছিলো যে তিনি খাম খেয়ালের বসে ২০ রাকাত তারাবি নির্ধারন করলেন?
===============
কথা একটাই যারা ২০ রাকাত তারাবির বিরোধীতা করে তারা, “”তারা হযরত ওমর (রাঃ) এর চেয়েও বেশি হেদায়েত প্রাপ্ত।
-অপঠিত দৈনিকী
ফিলিস্তিন-ইজরাইল যুদ্ধ বিরতি?!!!!
ফিলিস্তিন-ইজরাই
ল
প্রসঙ্গে জাতিসংঘ ও তথাকথিত পশ্চিমা সম্রাজ্যবাদের জন্য প্রতিষ্ঠিত সংগঠন
গুলো “যুদ্ধ বিরতির” কথা বলছে, আমী হতবাগ তাদের কথায়। এখানে যুদ্ধবিরতির
কথা আসছে কোথায় থেকে? যেখানে যুদ্ধই নাই।
এমন একটা বর্বর নির্মম মুসলিম দমন কে তারা “গনহত্যা” না বলে “যুদ্ধ” বলছে কেনো?
ফিলিস্তিন থেকে যে প্রতিরোধ করার চেষ্টা করা হচ্ছে তার উদাহরন যেনো ঢিল মেরে ট্যাংক ধ্বংস করা।
ইজরাইলের মদদ দাতা পশ্চিমা এটাকে যুদ্ধ হিসেবে আখ্যায়িত করছে এই কারণে, যেনো তাদেরকে এই নির্মম মানবতা বিরোধী বর্বর গনহত্যায় মুসলিম দের সাহায্য করতে না হয়।
নবী-রাসূলদের আগমনে ধন্য ফিলিস্তিনের ভূমিতে আজ মুসলমানরা হয়ে আছে প্রবাসী। ভুখন্ডহীন যাযাবর জাতি ইহুদীরা উড়ে এসে জুড়ে বসে নিজেদের রাজত্য প্রতিষ্ঠা করতে খুব লাফালাফি করতেছে। যেনো মরিবার তরে পিপিলিকার পাখা গজিয়েছে।
আল্লাহ এদের সম্পর্কে বলেন,
“কাফেররা যেন মনে না করে যে আমি যে, অবকাশ দান করি, তা তাদের পক্ষে কল্যাণকর। আমি তো তাদেরকে অবকাশ দেই যাতে করে তারা পাপে উন্নতি লাভ করতে পারে। বস্তুতঃ তাদের জন্য রয়েছে লাঞ্ছনাজনক শাস্তি।” (৩:১২৮)
ফিলিস্তিনের বর্তমান অবস্থার জন্য দায়ী মুসলমানরা নিজেই। কারণ মুসলমানরা জিহাদ বিহীন শান্তি কামনা শুরু করেছে, যা অসম্ভব।
আল্লাহ এই মুসলমান দের সম্পর্কে বলেন,
“তুমি কি সেসব লোককে দেখনি, যাদেরকে নির্দেশ দেয়া হয়েছিল যে, তোমরা নিজেদের হাতকে সংযত রাখ, নামায কায়েম কর এবং যাকাত দিতে থাক? অতঃপর যখন তাদের প্রতি জেহাদের নির্দেশ দেয়া হল, তৎক্ষণাৎ তাদের মধ্যে একদল লোক মানুষকে ভয় করতে আরম্ভ করল, যেমন করে ভয় করা হয় আল্লাহকে। এমন কি তার চেয়েও অধিক ভয়। আর বলতে লাগল, হায় পালনকর্তা, কেন আমাদের উপর যুদ্ধ ফরজ করলে! আমাদেরকে কেন আরও কিছুকাল অবকাশ দান করলে না। ( হে রসূল) তাদেরকে বলে দিন, পার্থিব ফায়দা সীমিত। আর আখেরাত পরহেযগারদের জন্য উত্তম। আর তোমাদের অধিকার একটি সূতা পরিমান ও খর্ব করা হবে না।”
ভয়ের কিছু নাই দুঃভাগ্য আপনার আর আমার। কারণ আমি আর আপনি শহীদ হয়ে জান্নাতের অধিবাসী হতে পারলাম না, রাসূল (সাঃ) ভবিষ্যত বানী করে গেছেন, “যতদিন না ইহুদীদের বিরুদ্ধে মুসলমানরা জয় লাভ করবে ততদিন কেয়ামত হবে না”
অর্থাৎ মুসলমানদের হাতে ইহুদীদের পতন আনিবার্য।
যুদ্ধ বিরিতি হলেই পরিস্থিতি ঠিক হয়ে গেছে বলে মনে করবেন না। ইহুদীরা জন্মগত ভাবেই মুসলমানদের শত্রু।
তাই জাগো হে বীর মুজাহিদ, জিহাদে ঝাপিয়ে পড়ো, মুসলমানদের বিজয় ত্বরান্বিত করো। সবাই জিহাদের মনোভাব পোষন করুন।
আল্লাহর রাসূল (সাঃ) বলেছেন, “যার শহিদী মৃত্যুর তামান্না নাই, তার মৃত্যু জাহিলিয়াতের মৃত্যু…”
বর্তমানে আমাদের করনীয়, যথাসম্ভব ইজিরাইলি পন্য বর্জন করুন। ইজরাইলি পানিয়তে (ড্রিংক্স) বাজার সয়লাব। যেমন: কোকাকোলা, পেপসি, কোকাকোলা ও পেপসি সিরিজের সব ড্রিংক্স, আর সি, সেভেন আপ ইত্যাদি। রোজার মওসুমে এসব ইজরাইলি পানিয় পরিত্যাগ করুন। কারন এই সময়েই এই পানিয় ব্যাবসা জমজমাট।
এমন একটা বর্বর নির্মম মুসলিম দমন কে তারা “গনহত্যা” না বলে “যুদ্ধ” বলছে কেনো?
ফিলিস্তিন থেকে যে প্রতিরোধ করার চেষ্টা করা হচ্ছে তার উদাহরন যেনো ঢিল মেরে ট্যাংক ধ্বংস করা।
ইজরাইলের মদদ দাতা পশ্চিমা এটাকে যুদ্ধ হিসেবে আখ্যায়িত করছে এই কারণে, যেনো তাদেরকে এই নির্মম মানবতা বিরোধী বর্বর গনহত্যায় মুসলিম দের সাহায্য করতে না হয়।
নবী-রাসূলদের আগমনে ধন্য ফিলিস্তিনের ভূমিতে আজ মুসলমানরা হয়ে আছে প্রবাসী। ভুখন্ডহীন যাযাবর জাতি ইহুদীরা উড়ে এসে জুড়ে বসে নিজেদের রাজত্য প্রতিষ্ঠা করতে খুব লাফালাফি করতেছে। যেনো মরিবার তরে পিপিলিকার পাখা গজিয়েছে।
আল্লাহ এদের সম্পর্কে বলেন,
“কাফেররা যেন মনে না করে যে আমি যে, অবকাশ দান করি, তা তাদের পক্ষে কল্যাণকর। আমি তো তাদেরকে অবকাশ দেই যাতে করে তারা পাপে উন্নতি লাভ করতে পারে। বস্তুতঃ তাদের জন্য রয়েছে লাঞ্ছনাজনক শাস্তি।” (৩:১২৮)
ফিলিস্তিনের বর্তমান অবস্থার জন্য দায়ী মুসলমানরা নিজেই। কারণ মুসলমানরা জিহাদ বিহীন শান্তি কামনা শুরু করেছে, যা অসম্ভব।
আল্লাহ এই মুসলমান দের সম্পর্কে বলেন,
“তুমি কি সেসব লোককে দেখনি, যাদেরকে নির্দেশ দেয়া হয়েছিল যে, তোমরা নিজেদের হাতকে সংযত রাখ, নামায কায়েম কর এবং যাকাত দিতে থাক? অতঃপর যখন তাদের প্রতি জেহাদের নির্দেশ দেয়া হল, তৎক্ষণাৎ তাদের মধ্যে একদল লোক মানুষকে ভয় করতে আরম্ভ করল, যেমন করে ভয় করা হয় আল্লাহকে। এমন কি তার চেয়েও অধিক ভয়। আর বলতে লাগল, হায় পালনকর্তা, কেন আমাদের উপর যুদ্ধ ফরজ করলে! আমাদেরকে কেন আরও কিছুকাল অবকাশ দান করলে না। ( হে রসূল) তাদেরকে বলে দিন, পার্থিব ফায়দা সীমিত। আর আখেরাত পরহেযগারদের জন্য উত্তম। আর তোমাদের অধিকার একটি সূতা পরিমান ও খর্ব করা হবে না।”
ভয়ের কিছু নাই দুঃভাগ্য আপনার আর আমার। কারণ আমি আর আপনি শহীদ হয়ে জান্নাতের অধিবাসী হতে পারলাম না, রাসূল (সাঃ) ভবিষ্যত বানী করে গেছেন, “যতদিন না ইহুদীদের বিরুদ্ধে মুসলমানরা জয় লাভ করবে ততদিন কেয়ামত হবে না”
অর্থাৎ মুসলমানদের হাতে ইহুদীদের পতন আনিবার্য।
যুদ্ধ বিরিতি হলেই পরিস্থিতি ঠিক হয়ে গেছে বলে মনে করবেন না। ইহুদীরা জন্মগত ভাবেই মুসলমানদের শত্রু।
তাই জাগো হে বীর মুজাহিদ, জিহাদে ঝাপিয়ে পড়ো, মুসলমানদের বিজয় ত্বরান্বিত করো। সবাই জিহাদের মনোভাব পোষন করুন।
আল্লাহর রাসূল (সাঃ) বলেছেন, “যার শহিদী মৃত্যুর তামান্না নাই, তার মৃত্যু জাহিলিয়াতের মৃত্যু…”
বর্তমানে আমাদের করনীয়, যথাসম্ভব ইজিরাইলি পন্য বর্জন করুন। ইজরাইলি পানিয়তে (ড্রিংক্স) বাজার সয়লাব। যেমন: কোকাকোলা, পেপসি, কোকাকোলা ও পেপসি সিরিজের সব ড্রিংক্স, আর সি, সেভেন আপ ইত্যাদি। রোজার মওসুমে এসব ইজরাইলি পানিয় পরিত্যাগ করুন। কারন এই সময়েই এই পানিয় ব্যাবসা জমজমাট।
Posted by Niamul Hasan