- Back to Home »
- ড. আফিয়া সিদ্দিকা একজন আলোচিত মুজাহীদ
Posted by : Niamul Hasan
শুক্রবার, ৯ মে, ২০১৪
ড. আফিয়া সিদ্দিকা
যিনি আন্ত্রর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন বিখ্যাত একজন মুসলিম স্নায়ু বিজ্ঞানী এবং একজন আলোচিত
মহিলা। তিনি করাচীর সম্ভ্রান্ত ও উচ্চ শিক্ষিত পরিবারে ১৯৭২ সালের ২ মার্চ জন্ম গ্রহন
করেন। পিএইচডি ডিগ্রি ধারী এই মহিলা কে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা F.B.I
২০০৩ সালে পাকিস্তানী কতৃপক্ষের সহযোগিতায় আল কায়েদার যাথে যোগাযোগ থাকার অভিযোগে পাকিস্তানের করাচির রাস্তা থেকে তার তিন সন্তান সহ গ্রেফতার করে। পরে প্রচলিত আইনের আওতায় না এনে পাকিস্তানের কারাগারে গ্রেফতার না রেখেই তাকে আফগানিস্তানের সামরিক ঘাটিতে তাকে ৫ বছর বন্দি করে রাখা হয়। মার্কিন আদালত তাকে ৮৬ বছর কারাদন্ড দেয়। বন্দি অবস্তায় তার ওপর ব্যাপক অমানবিক নির্যাতনের অভিযোগ আছে।
২০০৩ সালে পাকিস্তানী কতৃপক্ষের সহযোগিতায় আল কায়েদার যাথে যোগাযোগ থাকার অভিযোগে পাকিস্তানের করাচির রাস্তা থেকে তার তিন সন্তান সহ গ্রেফতার করে। পরে প্রচলিত আইনের আওতায় না এনে পাকিস্তানের কারাগারে গ্রেফতার না রেখেই তাকে আফগানিস্তানের সামরিক ঘাটিতে তাকে ৫ বছর বন্দি করে রাখা হয়। মার্কিন আদালত তাকে ৮৬ বছর কারাদন্ড দেয়। বন্দি অবস্তায় তার ওপর ব্যাপক অমানবিক নির্যাতনের অভিযোগ আছে।
জন্ম
ও শিক্ষাগত যোগ্যতা
জন্ম
সূত্রে এই উচ্চ শিক্ষিত মহিলা পাকিস্তানের নাগরিক। শিক্ষা জীবনে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের
সর্বচ্চ ডিগ্রী ধারী (পিএইচ ডি)। স্বনাম ধন্য এই স্নায়ু বিজ্ঞানী শিক্ষা জীবনে অসামান্য
মেধার পরিচয় দেন। যুক্তরাষ্ট্রের ব্রন্ডেইস হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় তাকে “নিউরোলজি”
বিষয়ে ডক্ট্রেট ডিগ্রী প্রদান করে। এছাড়াও সম্মান সূচক ও অন্যান্য ডিগ্রীর ১৪০ টিরো
বেশি সার্টিফিকেট তিনি অর্জন করেন। তিনি “হাফিযে কোর’আন” ও “আলিমা”। শিক্ষা লাভের পর
তিনি ২০০২ সাল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রেই বসবাস করেন ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠাবে চাকুরি করেন।
সহকর্মীরা তাকে অত্যন্ত ভদ্র, নম্র ও বিনয়ী হিসেবে পরিচয় দেন
গ্রেফতার
ও অপহরন
পাকিস্তানি
এই নাগরিক কে করাচির রাস্তা থেকে গ্রফতার করা হয়। পরে পাকিস্তানে কোনো বিচার কার্য
না করেই সরাসরি আবগানিস্তানে নিয়ে গেলে পাকিস্তান সরকার ব্যাপক সমালোচনার সম্মুখীন
হয়। এবং তাকে অপহরনের অভিযোগ ওঠে।
গ্রেফতারের
অভিযোগ ও বন্দী জীবন
আল-কায়দার
সাথে যোগাযোগ থাকার অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করা হয় তিন সন্তান আহমদ, সুলাইমান ও মারিয়ম
কে সহ। আফগানিস্তানে বন্দি রাখা কালে তার ওপর অমানবিক নির্যাতন করা হয়েছে বলে অভিযোগ
করা হয়। তাকে মানসিক, যৌন ও শারিরীক ভাবে নির্যাতন করা হত এবং তাকে দিনের মধ্য কয়েকবার
করে ধর্ষন করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করা হয়। বাগরাম কারাগার থেকে মুক্তি প্রাপ্ত বন্দিরা
অভিযোগ করেছে “নির্যাতনের সময়ে ড. আফিয়ার আত্ম চিতকার অন্য বন্দির পক্ষে সহ্য করাও
কঠিন ছিলো।” ওই নারীর ওপর নির্যাতন বন্ধ করার জন্য অন্য বন্দীরা অনশন পর্যন্ত করেছিলো।
২০০৮
সালে তাকে স্থানান্তর করা হয় নিউইয়র্কের এক গোপন কারাগারে। বর্তমানে তিনি পুরুষদের
সাথে ওই কারাগারে বন্দি। কারাবন্দি নম্বর ৬৫০। চলমান নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে তিনি
মানসিক ভারসাম্য হরিয়ে ফেলেন। পাকিস্তানের তেহরিক-ই-ইনসাফ দলের চেয়ারম্যান ও সাবেক
ক্রিকেটার ইমরান খান দাবি করে বলেন “তার দু সন্তান ইতমধ্য মার্কিন নিয়ন্ত্রিত আফগান
কারাগারে মারা গেছে।” তিনি আরো বলেন, “পাকিস্তানের কর্তৃপক্ষের মধ্য যারা ড. আফিয়া
সিদ্দিকা কে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের হাতে তুলে
দিয়েছে তাদের কে অবশ্যই বিচারের সম্মুখিন করতে হবে।”
৩৮
বছর বয়সী এই বিজ্ঞানী কে ৮৬ বছর কারাদন্ড দেওয়া হয়, আদালতে মার্কিন গোয়েন্দা ও সামরিক
কর্মকর্তা কে হত্যার চেষ্টার অভিযোগে। অভিযোগ আছে যে তাকে ২০০৮ সালে সবগানিস্তানে অজানা
রাসায়নিক পদার্থ ও হামলার পরিকল্পনার নোট সহ গ্রেফতার করা হয়। এবং তার বিরুদ্ধে ৭ টা
মামলা দায়ের করা হয়। এরপর তাকে জিজ্ঞাসাবাদের নামে ব্যাপক নির্যাতন করা হয়। সরকার পক্ষের
আইনজীবী বলেন গ্রেফতারের সময় তার কাছে গুরুত্বপূর্ন স্থানের মানচিত্রর পাওয়া যায়।
ড.
আফিয়া কে ৮৬ বছর কারাদন্ডের রায় ঘোষনা করার পর পাকিস্তানের রাস্তায় বিক্ষভ করে। অনেকেই
মনে করেন তিন সন্তানের জননী হার্ভার্ড পি এইচ ডি আফিয়া যুক্তরাষ্ট্রের সন্তাস বিরোধী
যুদ্ধের আর একটি নির্দোষ শিকার। বিক্ষোভ কারীরা অভিযোগ করে, “বিস্ব জুরে সব জায়গায়
তেই অভিযুক্তরা “বেনেফিট অব ডাউট” বা সন্দেহাতীত ভাবে দোষী প্রমানিত হওয়ার আগে পর্যন্ত
নির্দোষ বলে বিবেচিত হয়। ফলে সকল সুবিধা পায়। কিন্তু ড. আফিয়া তা পাননি বরং নির্্যাতনের
শিকার হন”।
তার
ওপর অমানবিক নির্যাতনের বি্ষয় টি আলোচিত হয় কারাগার থেকে তার বহুল আলোচিতো চিঠি টি
লেখার পার। চিঠিটি তে ড. আফিয়া দাবি করেন তার ওপর শারিরিক, পাশবিক নির্যাতনের পাশাপাশি
একের পর এক ধর্ষন করা হয়। তার একটি কিডনিও বের করে ফেলা হয়েছিলো ফলে তিনি হাটতে পারতেন
না। তিনি আরো দাবি করেন যে তাকে গুলি করা হয় এবং তার বুকে গুলি আঘাত ছিলো।
আল্লাহ আপনি মেহের বানি করেএই েবানের প্রতি রহমত ও দয়া করুন। আমিন
উত্তরমুছুন