Posted by : Niamul Hasan বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল, ২০১৪

এক হিন্দু ভাইয়ের সাথে আলোচনা হচ্ছিল। হিন্দু ধর্ম যে মূর্তি পূজার বিরুদ্ধে তার পরমান স্বরূপ আমি কিসু উদৃতি দিয়েছিলাম।

চাইলে পোষ্ট টা আর একবার দেখতে পারেন।
http://m.facebook.com/story.php?story_fbid=361118594023558&id=100003762612930&p=10&refid=52

আমি সেখানে গীতার একটি শ্লোকের উদৃতি দিয়েছিলাম।


"অর্থ-যাদের মন জড় কামনা বাসনা দ্বারা বিকৃত তারা অন্য দেব দেবীর শরনাগত হয়ে এবং তাদের স্বীয় স্বভাব অনুসারে নিয়ম পালন করে দেবতাদের উপসনা করে।"
(Geeta 7:20)

এখানে অত্যন্ত স্পষ্ট ভাষায় দেবতাদের যে কোন ধরনের উপাসনা কর্তে নিষেধ করা হয়েছে।

উনি তখন তার পরের শ্লোক টির উদৃতি দিয়ে বললেন যে সেখানে নাকি মূর্তি পূজার অনমুতি দাইয়া হয়েছে।

শ্লোক টিই হলোও,
"অর্থ-পরমাত্মারুপে আমি সকলের হৃদয় বিরাজ করি। যখন কেউ দেবতাদের পূজা করতে ইচ্ছা করে আমি তাদের শ্রদ্ধানুসারে সেই সেই দেবতাদের প্রতি ভক্তি বিধান করি ।"
(Geeta 7:21)

আচ্ছা এটাতে যদি সত্যি ই মূর্তি পূজার অনুমতি দাইয়া থাকে, তাহলে এটি এর আগের শ্লোক থির সাথে পারস্পারিক সাংঘর্ষিক।!!!

আর একটা বইয়ে যদি সাংঘর্ষিক তত্থয় থাকে সেটা আর যাই হোক কোন সত্য ধর্মের গ্রন্থ হতে পারে না।

তাহলে আসুন দেখি এখানে আসলে কি বলা হচ্ছে? আসলে এর পরবর্তী কয়েক টি শ্লোক পরলেই বিষয় টি পরিষ্কার হয়ে যায়।

আসলে ইশবর ৭:২১ এ বলছেন যে, কেউ যখন কোন দেবতার আরাধনা করে। তখন তার মনের মদ্ধয়ে যতোটা শ্রদ্ধা থাকে, ইশবর তাকে ততটাই সেই দেবতার প্রতি ভক্তি বাড়িয়ে দেন। অর্থাৎ ততো টাই অজ্ঞতার মধ্য নিক্ষেপ করেন। (কারণ ২০ ও ২৩ নম্বর শ্লোকে দেবতাদের উপাসনা কারীদের কে অজ্ঞ বলা হয়েছে)


আসুন ২২ নম্বর শ্লোক টা দেখি।

"অর্থ-সেই ভক্ত শ্রদ্ধাযুক্ত হয়ে সেই দেবতার আরাধনা করেন কিন্তু সেই দেবতার কাছ থেকে আমারই দ্বারা বিহিত কাম্য বস্তুলাভ করে।"

অর্থাৎ সুষ্পষ্ট পাপ (দেবতাদের আরাধনা) করার পরেও ইশ্বর তাদেরকে তাদের কাম্য বস্তু দান করেন।
এই ভাবে তারা কাম্য বসু পাচ্ছে থিকি কিন্তু সাথে পাপ অর্জন করছে।


এখন পরবর্তী শ্লোকে (২৩) এ করণীয় কাজের কথা বলে দিচ্ছেন।

"অর্থ-অল্পবুদ্ধি ব্যক্তিদের আরাধনার ফল লব্ধ অস্থাই। দেবতাদের উপসকেরা তাদের আরাধ্য দেবতাদের লোক প্রাপ্ত হন, কিন্তু আমার ভক্তরা আমার পরম ধাম প্রাপ্ত হন।" (Geeta 7:23)

এখানে দেবতাদের উপাসক দের কে ইশ্বর "অল্পবুদ্ধি " সম্পূর্ণ বলে সম্মোধন করেছেন। এবং বলেছেন যারা শুধু আমার ভক্ত অথাত ইশ্বর ছাড়া আর কারো উপাসনা করে না, দেব দেবি দের আরাধনা করে না তারাই আমার ভক্তরা আমার পরম ধাম প্রাপ্ত.
অর্থাৎ তারাই কাম্য বস্তু লাভের পাশাপাশি পুণ্য ও লাভ করে।


সুতরাং এ কথা স্পষ্ট যে এখানেও মুরতি পূজার বিরুদ্ধে এবং এক ইশ্বরের উপাসনার কথা বলা হয়েছে।

তার পরো যদি কেউ বলে যে এখানে মূর্তি পূজার অনমুতি দাইয়া হয়েছে। তবে ২০ ও ২১ নম্বর শ্লোক দুটি পারষ্পরিক সাংঘর্সিক।

পরিশেষে আর একটা উদৃতি দেতে চাঁই কোরআন থেকে,

বলুনঃ হে আহলে-কিতাবগণ! একটি বিষয়ের দিকে আস-যা আমাদের মধ্যে ও তোমাদের মধ্যে সমান-যে, আমরা আল্লাহ ছাড়া অন্য কারও ইবাদত করব না, তাঁর সাথে কোন শরীক সাব্যস্ত করব না এবং একমাত্র আল্লাহকে ছাড়া কাউকে পালনকর্তা বানাব না। তারপর যদি তারা স্বীকার না করে, তাহলে বলে দাও যে, সাক্ষী থাক আমরা তো অনুগত (Al Imran 64)

তাই আসুন আমাদের মদ্য যে বিষয় গুলো কমন সেগুলো আগে মানার চেষ্টা করি।

Leave a Reply

Subscribe to Posts | Subscribe to Comments

আল-কুরআনের আলো



কুরআন আয়াতের এই প্লাগইন টি আমরা সবার জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছি। বিস্তারিত জানতে অথবা আপনার ওয়েব সাইটে এই প্লাগইন টি যুক্ত করতে এখানে ক্লিক করুন

Popular Post

ব্লগ লাইব্রেরি

- Copyright © অপঠিত দৈনিকী-র বাংলা ব্লগ